নিজস্ব প্রতিবেদক: , আপলোডের সময় : শনিবার, ১ জানুয়ারী, ২০২২ , আজকের সময় : শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪

বাণিজ্যিক কূটনীতিতে প্রাধান্য দেয়ার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি ইতোমধ্যে আমাদের প্রত্যেকটি দূতাবাসকে নির্দেশ দিয়েছি, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছি যে বর্তমানে আমাদের যে কূটনীতি এটা হবে বাণিজ্যিক কূটনীতি অর্থাৎ ইকোনোমিক ডিপ্লোমেসি। সেভাবেই সবাই কাজ করছেন।’

রপ্তানি বাড়াতে বাণিজ্যভিত্তিক কূটনীতিকে প্রাধান্য দেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বলেছেন, এ বিষয়ে নির্দেশনা মোতাবেক সরকারের সবাই কাজ করছে।

পূর্বাচলে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে শনিবার এ বছরের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন সরকারপ্রধান। অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে গণভবন থেকে যুক্ত হয়েছিলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি ইতোমধ্যে আমাদের প্রত্যেকটি দূতাবাসকে নির্দেশ দিয়েছি, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছি যে বর্তমানে আমাদের যে কূটনীতি এটা হবে বাণিজ্যিক কূটনীতি অর্থাৎ ইকোনোমিক ডিপ্লোমেসি। সেভাবেই সবাই কাজ করছেন।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা দ্বিপাক্ষিক ও আঞ্চলিক বাণিজ্যিক চু্ক্তি, মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি এবং সমন্বিত বাণিজ্যিক চুক্তি সম্পাদনের জন্য ২৩টি দেশের বিষয়ে আমরা সম্ভাব্যতা সমীক্ষা সম্পন্ন করেছি। সবার সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য যেন আরও সহজভাবে করতে পারি।

‘উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে আমরা যে মর্যাদা পেয়েছি সেটাকে ধরে রেখে, আমাদের যদি কোনো চ্যালেঞ্জ আসে সেটাকেও যাতে মোকাবিলা করতে পারি সে বিষয়ে বিশেষ দৃষ্টি নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি।’

বাণিজ্য আরও সম্প্রসারণে গবেষণার প্রয়োজনীয়তাও তুলে ধরেন সরকারপ্রধান। শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি গবেষণাকে সবচেয়ে গুরুত্ব দিই, আমাদের মনে হয় ব্যবসা বাণিজ্যের ক্ষেত্রেও কিছু গবেষণা দরকার।

‘আমাদের পণ্য, পণ্যের চাহিদা এবং পণ্যের মান সেগুলো বিশেষভাবে নিরুপণ করা এবং রপ্তানির ক্ষেত্রে পণ্যের গুণগত মান ধরে রাখার বিষয়ে প্রতিটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যারা আছেন তাদেরকে অনুরোধ করব, নিজের দেশের ভাবমূর্তি ধরে রাখার জন্য আপনাদের নিজেদেরই উদ্যোগ নিতে হবে।’