স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, ‘বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর মান এখন বিশ্বমানের কাছাকাছি। বর্তমানে প্রতিষ্ঠিত পুলিশ বাহিনী গড়ে তোলাই আমাদের লক্ষ্য। অদূর ভবিষ্যতে সেই লক্ষ্যও পূরণ হবে।’
রাজশাহীর সারদায় থাকা বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমীতে আজ রবিবার পুলিশে নব-নিয়োগকৃত ‘ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টবল’-২০২১ ব্যাচের মৌলিক প্রশিক্ষণের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্রধান অতিথির বক্তব্যে এই কথা বলেন।
ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবলদের মৌলিক প্রশিক্ষণ কোর্স উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আইজিপি ড. বেনজীর আহমেদ বলেন, ‘পুলিশকে সেবার মানসিকতা নিয়ে কর্মক্ষেত্রে নিজেকে নিয়োজিত করতে হবে। আর এই ব্রত মননে ও বিশ্বাসে ধারণ করতে হবে। কারণ পুলিশে যোগদান কোনো চাকরি নয়, এটি সেবা। দেশের মানুষকে সততার মাধ্যমে সর্বদা বৈষম্যহীন সেবা দিতে হবে।’
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমীর প্রিন্সিপ্যাল অতিরিক্ত আইজি খন্দকার গোলাম ফারুকে সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম, জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোস্তাফা কামাল উদ্দীন।
রবিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল পুলিশ কাডেমীতে পৌঁছান। তিনি পুলিশ একাডেমীতে এসে পৌঁছালে ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ (আজিপি) ড . বেনজীর আহমেদ, পুলিশ একাডেমীর প্রিন্সিপ্যাল অতিরিক্ত আইজিপি খন্দকার গোলাম ফারুকসহ ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাবৃন্দ তাকে স্বাগত জানান এবং ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।
অনুষ্ঠানে জানানো হয় সম্পূর্ণ পরিবর্তিত পদ্ধতির মধ্যে দিয়ে স্বচ্ছ, আধুনিক ও যুগোপযোগী প্রক্রিয়ায় দেশব্যাপী পুলিশ সদস্য নিয়োগ পেয়েছিল। নিয়োগপ্রাপ্ত সেই তিন হাজার ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টবলদের এই মৌলিক প্রশিক্ষণ আজ শুরু হলো।
এর আগে সকাল সকাল সাড়ে ১০টায় বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমী চত্বরে পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতি (পুনাক) ভবন ও শোরুম উদ্বোধন করেন পুনাক এর কেন্দ্রীয় সভানেত্রী বেগম জীশান মীর্জা। অনুষ্ঠানে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ রাজশাহী বিভাগ ও জেলার পদস্থ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তা ও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।