রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৪২ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
মাছের প্রজননে সময় না দিয়ে মানুষ দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিচ্ছে : মৎস্য উপদেষ্টা কোনো নিরীহ মানুষ যেন হয়রানির শিকার না হয় : আইজিপি নির্বাচন যত দেরি হবে ততই ষড়যন্ত্র হবে : তারেক রহমান কায়কোবাদের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে মুরাদনগরে বিএনপির প্রস্তুতি সভা কিশোরগঞ্জে ’দুর্বার প্রজন্মের’ শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠিত তারেক রহমান ও কায়কোবাদের মামলা প্রত্যাহার না করলে আন্দোলনের হুমকি হিন্দু সম্প্রদায়ের রাতের অন্ধকারে ঘরে ঢুকে বৃদ্ধাকে শ্বাসরোধে হত্যা তাড়াইলে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের দাওয়াতি মজলিস ও মতবিনিময় সভা মুরাদনগরে মাটিখেকোদের বিরুদ্ধে রাতের আঁধারে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান বরিশাইল্লা বউ : লুৎফুন্নেসা রহমান

টাঙ্গাইলে স্ত্রীকে হত্যায় স্বামীর মৃত্যুদণ্ড

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি
  • আপলোডের সময় : বৃহস্পতিবার, ১৩ জানুয়ারী, ২০২২
  • ৬১১৬ বার পঠিত
Judge hammer black icons on the white background

টাঙ্গাইলে যৌতুকের দাবিতে স্ত্রী হত্যা মামলার আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত। বৃহস্পতিবার দুপুরে টাঙ্গাইলের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক বেগম খালেদা ইয়াসমিন আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন। শাহাদাত হোসেন জামিনে মুক্তি পেয়ে আত্মগোপনে চলে গেছেন।

মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত আসামি হলেন টাঙ্গাইলের সদর উপজেলার চৌবাড়িয়া গ্রামের ওমর আলীর ছেলে শাহাদৎ হোসেন।

টাংগাইল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পিপি আলী আহমেদ বলেন, ২০০২ সালে দণ্ত আসামির শাহাদৎ হোসেনের সঙ্গে সদর উপজেলার ইউনিয়নের কাউলতিয়া গ্রামের জাহানারা খাতুন এর বিয়ে হয়। বিয়ের তিন থেকে পাঁচ মাস পরে ১০ হাজার টাকা যৌতুক দাবি করে শাহাদৎ। জাহানারা খাতুন এর পরিবার যৌতুকের টাকা দিতে না পারায় শাহাদৎ স্ত্রীকে নির্যাতন করে।

পরেন ২০০২ সালের ৬ সেপ্টেম্বর শাহাদত শ্বশুর বাড়িতে যায়। সেখানে রাতে খাওয়া-দাওয়া শেষে স্ত্রীকে নিয়ে বাড়ির একটি কক্ষে ঘুমাতে যায়। পরেরদিন ভোরে বাড়ির লোকজন ঘুম থেকে উঠে তাদের ঘরের দরজা খোলা দেখে সেখানে যায়। কিন্তু ঘরের ভিতর কাউকে না পেয়ে বাড়ির আশপাশে খোঁজাখুঁজি শুরু করে। তখন বাড়ির দক্ষিণ পাশে একটি পুকুরে জাহানারা খাতুন এর লাশ ভেসে থাকতেন দেখে তারা। পরে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে। লাশের শরীরে বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন দেখা যায়।

নিহতের ভাই ইউনুস আলী বাদী হয়ে সদর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় চিকিৎসক ও ৯ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য প্রদান করেন। আসামিপক্ষের মামলা পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট আইয়ুব আলী। তিনি বলেন এ রায়ের বিরুদ্ধে তারা উচ্চ আদালতে আপিল করবেন।

দয়া করে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..