রাজধানীর বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ল অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্সে (বিলিয়া) এক সেমিনার শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা জানান।
র্যাব ও এর সাত কর্মকর্তার ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞার পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে লবিস্ট নিয়োগ করবে কিনা, জানতে চাইলে আবদুল মোমেন বলেন, আমি এসব বলতে পারব না। লবিস্ট নিয়োগ যুক্তরাষ্ট্রের চর্চা। এটা বোধ হয় ২০১৩-১৪ সালে করেছিল এবং ওরা কাজ করে। প্রত্যেক দেশই লবিস্ট নিয়োগ দেয়। আমাদের দেশে বলা হয় তদবির। তবে যেখানে তদবির দরকার, সেখানে আমরা চালাব। দেশেও তো কাজ করতে গেলে অনেক সময় তদবির লাগে।
মার্কিন নিষেধাজ্ঞার প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সময়-সময় আমাদের অনেক ধরনের দুর্যোগ আসে। আমরা সেগুলো সমাধান করি। এখনো একটা হয়তো অসুবিধা আসছে। আমেরিকানরা পরিপক্ব জাতি। তারা দেখবে। যদিও র্যাবের ওপর যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে, মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর বলছে গত কয়েক বছরে সন্ত্রাস কমেছে। এটা তাদের নিরপেক্ষ সমীক্ষা। সেগুলো নিয়ে তারা চিন্তাভাবনা করবে নিশ্চয়ই।
গণতন্ত্রে বাংলাদেশ দিন দিন পরিকপক্কতা অর্জন করছে জানিয়ে আবদুল মোমেন বলেন, গণতন্ত্রে অনেক ধাক্কা আসে। সব গণতন্ত্রেই অপরিপূর্ণতা আছে। এটা একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। আমরা দিনে দিনে পরিপক্বতা অর্জন করেছি।
তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র পরিপক্বতা অর্জন করার মধ্যেও ধাক্কা খায়। এ ধরনের ধাক্কাটাক্কা সব দেশে আসে। কোথাও দুর্বলতা থাকলে আমরা অবশ্যই তা দূর করার চেষ্টা করব।