নিজস্ব প্রতিবেদক , আপলোডের সময় : শনিবার, ২২ জানুয়ারী, ২০২২ , আজকের সময় : শনিবার, ১৩ এপ্রিল, ২০২৪

করোনাঃ সপ্তাহ ব্যাবধানে রেকর্ডের ছড়াছড়ি

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ১১ হাজার ৪৩৪ জন। আর এ সময়ে নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ২৮ দশমিক ৪৯ শতাংশ। করোনায় আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন ১২ জন।

শুক্রবার (২১ জানুয়ারি) স্বাস্থ্য অধিদফতরের করোনা বিষয়ক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

আজকের থেকে বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছিল গত ৯ আগস্ট। সেদিন ১১ হাজার ৪৬৩ জন রোগী শনাক্ত হন। চলতি বছরের ১ জানুয়ারিও শনাক্ত ছিল ৪০০-এর নিচে। এদিন ৩৭০ জন শনাক্ত হন। ৬ জানুয়ারি হাজার ছাড়িয়ে যায় শনাক্ত। ১৬ জানুয়ারি শনাক্ত ৫ হাজার ছাড়ায়। আর গত ২০ জানুয়ারি সেটি দ্বিগুণ হয়ে ১০ হাজার ছাড়িয়ে ১০ হাজার ৮৮৮ জন হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় (২০ জানুয়ারি সকাল ৮টা থেকে ২১ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত) শনাক্ত ১১ হাজার ৪৩৪ জন নিয়ে সরকারি হিসাবে মোট শনাক্ত ১৬ লাখ ৬৪ হাজার ৬১৬ জন। গতকাল (২০ জানুয়ারি) ১০ হাজার ৮৮৮ জন শনাক্ত হওয়ার কথা জানানো হয়।

গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ১২ জন নিয়ে এখন পর্যন্ত মারা গেছেন ২৮ হাজার ১৯২ জন। গতকাল চার জনের মৃত্যুর তথ্য দেওয়া হয়েছিল অধিদফতর থেকে।

গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৭৫২ জন। তাদের নিয়ে দেশে মোট সুস্থ হলেন ১৫ লাখ ৫৫ হাজার ৫৯৭ জন।

অধিদফতর জানাচ্ছে, গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ২৮ দশমিক ৪৯ শতাংশ, যা গতকাল ছিল ২৬ দশমিক ৪৭ শতাংশ।

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার নমুনা সংগৃহীত হয়েছে ৪০ হাজার ৪২৩টি, আর পরীক্ষা করা হয়েছে ৪০ হাজার ১৩৪টি। দেশে এখন পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে এক কোটি ২০ লাখ ৪৭ হাজার ৭১৫টি। এরমধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৮২ লাখ ৫২ হাজার ৯১৪টি। বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৩৭ লাখ ৯৪ হাজার ৮০১টি।

দেশে এখন পর্যন্ত রোগী শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৮২ শতাংশ। ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৩ দশমিক ৪৫ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার এক দশমিক ৬৯ শতাংশ।

গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ১২ জনের মধ্যে পুরুষ সাত জন আর নারী পাঁচ জন। তাদের নিয়ে দেশে করোনা আক্রান্ত হয়ে মোট পুরুষ মারা গেলেন ১৮ হাজার ২৪ জন এবং নারী ১০ হাজার ১৬৮ জন।

২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়াদের মধ্যে ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে আছেন চার জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে তিন জন, ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে দুই জন; আর ৩১ থেকে ৪০ বছর, ৪১ থেকে ৫০ বছর এবং ৯১ থেকে ১০০ বছরের মধ্যে আছেন একজন করে।

মারা যাওয়া ১২ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগেরই ছয় জন। বাকি সিলেট বিভাগের দুই জন এবং চট্টগ্রাম, খুলনা, রংপুর ও ময়মনসিংহ বিভাগের আছেন একজন করে। এদের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে মারা গেছেন আট জন, বেসরকারি হাসপাতালে চার জন।