জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর এ দেশে আন্দোলনের ক্ষেত্রে কবি ও আবৃত্তিকারদের অবদান সবচেয়ে বেশি বলে উল্লেখ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পর যখন কোনো রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড করা যাচ্ছিল না, তখন কবিতার মধ্য দিয়েই আমাদের প্রতিবাদের ভাষা বেরিয়ে আসে এবং মানুষ উদ্বুদ্ধ হয়।’
শিল্পকলা একাডেমিতে আজ বৃহস্পতিবার সকালে পাঁচ দিনব্যাপী বঙ্গবন্ধু জাতীয় আবৃত্তি উৎসব ২০২০-২২-এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
এ সময় শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘একজন কবি, শিল্পী, সাহিত্যিক, আবৃত্তিকার যা কিছু দিয়ে গেছেন, এগুলো আমাদের সম্পদ। নীল দর্পণ নাটকের মাধ্যমে ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন এগিয়ে গিয়েছিল। এ ছাড়া একটি কবিতার শক্তি যে কত বেশি, সেটা তো আমরা নিজেরাই জানি।’
এ সময় আবৃত্তি শিল্পকে এগিয়ে নিতে বিশেষ অবদান রাখায় প্রয়াত গোলাম মুস্তাফাসহ ছয় জনকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব জাতীয় আবৃত্তি পদক ২০২০-২২ প্রদান করা হয়। ২০২০ সালের জন্য গোলাম মুস্তাফাকে এ পদক দেওয়া হয়। এ ছাড়া ২০২১ সালের জন্য সৈয়দ হাসান ইমাম ও আশরাফুল আলম এবং ২০২২ সালের জন্য জয়ন্ত চট্টপাধ্যায়, কাজী মদিনা ও ভাস্বর বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেওয়া হয় এ পদক।