লেখকঃ এস এম আক্তারুজ্জামান (ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল,বাংলাদেশ পুলিশ) , আপলোডের সময় : শুক্রবার, ২৮ জানুয়ারী, ২০২২ , আজকের সময় : শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪

শিল্পায়ন বনাম নগরায়ন: এস.এম আক্তারুজ্জামান-ডিআইজি বরিশাল রেঞ্জ

এস এম আক্তারুজ্জামান (ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল,বাংলাদেশ পুলিশ)

শিল্পায়ন বনাম নগরায়নঃ- এই দুইটি প্রক্রিয়া বা প্রসেস অর্থনৈতিক উন্নয়নের শক্তিশালী চালক। অর্থনৈতিক উন্নয়নের ধাপে শিল্পায়ন আছে তবে নগরায়ন নেই। শিল্পায়ন থেকে নগরায়ন হয় এটা ধরে নেয়া হয়।

শিল্পায়নের পরের ধাপ হল ট্রেড এবং সার্ভিস। বাংলাদেশের অর্থনীতি কৃষি খাত থেকে শিল্পে আসে নব্বই শতকে, এখনো টিকে আছে তবে ২য় স্থানে। উঠে এসেছে সার্ভিস এবং ট্রেড সেক্টর। এতে অর্থনৈতিক উন্নয়ন বেগবান হয়েছে। আমার ভাবনা উন্নয়নের ধাপ নিয়ে নয় বরং নগরায়ন নিয়ে। শিল্প অর্থনৈতিক উন্নয়ন করে, কিন্তু শিল্প শ্রমিকদের বা জমিদাতাদের উন্নয়ন হয়না।

বাংলাদেশে শিল্পায়ন যেখানে হয়েছে সেখানে নগরায়ন হয়নি, হয়েছে বরং টিন শেডের বা এক দুই তলা অপরিকল্পিত দালানায়ন বা পৌরসভায়ন। কারন শিল্পে যারা চাকুরি করে তাদের আয় খুব কম, গড়ে ১২ হাজার টাকা। এই টাকায় নগরের দালানে ভাড়া জুটবেনা। তাদের ছেলেমেয়েদের জন্য উন্নত স্কুল, হাসপাতাল হবেনা। আবাসন সার্ভিসের টাকা সেখানে বিনিয়োগ হবেনা। শিল্পায়ন যেখানে হয় সেখানে শিল্পের আবর্জনায় পরিবেশ দুষিত থাকে, তাই যারা ভাল আয় করেন তারা চলে আসেন গাড়িতে নগরে মানে মহানগরে। যার ফলে তেজগাঁও, টংগী, ফতুল্লা, রুপগঞ্জ৷ সোনারগা, মুন্সীগঞ্জে, সাভারে, হাজারিবাগে, ডেমড়ায় হয়েছে অপরিকল্পিত দালানায়ন। আর এই দালান গড়ে উঠে স্থানীয়দের জমি বিক্রির টাকা দিয়ে। সরকারি বা পৌরসভার বরাদ্দে সেখানে উন্নয়ন হয় কম। বড় পরিকল্পিত নগরায়ন হয়েছে মুলত সরকারি প্রতিষ্ঠান এবং সার্ভিস সেক্টর এলাকায়। কারন তাদের আয় বেশি এবং সরকারি টাকায় সেখানে হয় উন্নয়ন। তাই, ঢাকা মহানগর উত্তরা পর্যন্ত চলে গিয়েছে অথচ মতিঝিল থেকে যাত্রাবাড়ি ক্রস করেনি। কারন সেখানে সরকারি আবাসন বা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেনি।