রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১২:২৬ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
মাছের প্রজননে সময় না দিয়ে মানুষ দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিচ্ছে : মৎস্য উপদেষ্টা কোনো নিরীহ মানুষ যেন হয়রানির শিকার না হয় : আইজিপি নির্বাচন যত দেরি হবে ততই ষড়যন্ত্র হবে : তারেক রহমান কায়কোবাদের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে মুরাদনগরে বিএনপির প্রস্তুতি সভা কিশোরগঞ্জে ’দুর্বার প্রজন্মের’ শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠিত তারেক রহমান ও কায়কোবাদের মামলা প্রত্যাহার না করলে আন্দোলনের হুমকি হিন্দু সম্প্রদায়ের রাতের অন্ধকারে ঘরে ঢুকে বৃদ্ধাকে শ্বাসরোধে হত্যা তাড়াইলে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের দাওয়াতি মজলিস ও মতবিনিময় সভা মুরাদনগরে মাটিখেকোদের বিরুদ্ধে রাতের আঁধারে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান বরিশাইল্লা বউ : লুৎফুন্নেসা রহমান

বেতাগীতে ঋন পরিশোধ করেও জেলে ডুকলেন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী নুরুল হক

সাইদুল ইসলাম মন্টু (বিশেষ প্রতিবেদক):
  • আপলোডের সময় : শুক্রবার, ১১ ফেব্রুয়ারী, ২০২২
  • ৫৯৪১ বার পঠিত

বেতাগী (বরগুনা) প্রতিনিধি:
বরগুনার বেতাগীতে অগ্রণী ব্যাংকের ঋনের টাকা পরিশোধের করেও জেলে ডুকলেন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী নুরুল হক। এ ঘটনায় এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।
অর্থ ঋন আদালত আইনে দায়ের করা সার্টিফিকেট মামলায় বুধবার সন্ধ্যায় পৌর শহরের শহীদ মিনার এলাকায় তার দোকান থেকে পুলিশ গ্রেফতার করে। বৃহস্পতিবার (১০ ফ্রেরুয়ারি) সকালে বরগুনায় আদালতে প্রেরণ করে। ডেথ রেফারেন্সের কারণে আদালত বন্ধ থাকায় তার বের হওয়া আর হয়নি। শুক্র ও শনিবার দু‘দিন সরকারি সাপ্তাহিক ছুঁটি থাকায় আগামী রবিবার জেল থেকে মুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে তার আইনজীবী সূত্রে এমনটাই জানা গেছে।
ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের দাবি ব্যাংকের ঋন পরিশোধ ও মামলা উত্তোলণ খরচ দেওয়ার পরেও অগ্রণী ব্যাংকের বেতাগী শাখা ব্যবস্থাপক মো: শাহআলমের গাফেলতি ও ভুলের কারণে তাদের এ খেসারত গুনতে হচ্ছে। বিনা অপরাধে জেল খাটতে হচ্ছে।
জানা গেছে, ২০১৩ সালে ভোগ্যপণ্য ঋন হিসেবে ১ লক্ষ টাকা গ্রহণ করে। ২৩ শত টাকা মাসিক কিস্তী হিসেবে দিয়ে আসার পর এক পর্যায় ব্যর্থ হওয়ায় ২০১৭ সালে অর্থ ঋন আদালত আইনে গ্রাহক নুরুল হকের বিরুদ্ধে সার্টিফিকেট মামলা হয়। ২০২১ সালের ফ্রেরুয়ারি মাসে ৫৫ হাজার ৫০০ টাকা সন্বয়ের মাধ্যমে ঋন পরিশোধ করে এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মধ্যস্থতায় মামলা উত্তোলণ খরচ বাবাদ সাথে বাড়তি ৪ হাজার টাকা শাখা ব্যবস্থাপকের কাছে প্রদান করে।
নুরুল হকের স্ত্রী হালিমা বেগম অভিযোগ করেন, ব্যাংক কর্তৃপক্ষের গাফেলতি ও ভুলের কারণে তাদের খেসারত দিতে হচ্ছে। বিনা অপরাধে তার স্বামীকে জেল খাটতে হচ্ছে। সংশ্লিষ্টদের কাছে ক্ষতিপূরণসহ তিনি এর সুষ্ঠু প্রতিকার দাবি করেন।
বেতাগী থানার অফিসার ইনচার্জ মো: শাহআলম হাওলাদার জানান, ঋন সংক্রান্ত মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামী হওয়ায় তাকে গ্রেফতারের পর বরগুনায় কোর্টে পাঠানো হয়েছে।
গাফেলতির অভিযোগ অস্বীকার করে অগ্রণী ব্যাংকের বেতাগী শাখা ব্যবস্থাপক মো: শাহআলম বলেন,‘ এ বিষয় ব্যাংক কর্তৃপক্ষের কোন দায়বদ্ধতা নেই। মামলায় গ্রাহক হাজিরা না দেওয়ার কারনে তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়।

দয়া করে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..