শুক্রবার, ৩১ মার্চ ২০২৩, ১২:০০ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
মহা অষ্টমী স্নানে পানিতে ডুবে ১২ বছরের ছেলের মৃত্যু সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন বাংলাদেশ-ভিয়েতনাম অর্থনৈতিক সহযোগিতা জোরদারে প্রধানমন্ত্রীর গুরুত্বারোপ ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন-সড়ক দুর্ঘটনারোধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ নিরাপত্তা আইনের অপপ্রয়োগ বন্ধ করুন : নতুনধারা মামলার পর আটক শামসুজ্জামান : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আমরা চাই বাংলাদেশ থেকে সব ধরনের অনিয়ম দূর হোক: প্রধানমন্ত্রী নূরে আলম সিদ্দিকীর মৃত্যুতে নতুনধারার শোক ভোলার ইলিশা ঘাটে যানজট, ট্রাকেই পচা তরমুজ ফেলে পালালেন ব্যবসায়ীরা সৌদিতে সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু তিন জনের বাড়ি কুমিল্লায়: নিহতদের বাড়িতে শোকের ছায়া!

ভোলায় ৫৮ হাজার পরিবার বিধবা ও প্রতিবন্ধী ভাতা পাচ্ছেন

সাব্বির আলম বাবু (ভোলা ভ্যুরো চিফ):
  • আপলোডের সময় : রবিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২২
  • ৫৮২৭ বার পঠিত
 সাব্বির আলম বাবু (ভোলা ভ্যুরো চিফ):
জেলার ৭ উপজেলায় ৫৮ হাজার ৪’শ ৭৫ জন বিধবা ও অসচ্ছল প্রতিবন্ধী পরিবার সরকারের ভাতা সহায়তা পাচ্ছেন। এর মধ্যে বিধবা ও স্বামী নিগৃহীতা মহিলা ভাতা পাচ্ছেন ৩৫ হাজার ৭’শ ৮৪ এবং অসচ্ছল প্রতিবন্ধী ভাতাভোগী ২২ হাজার ৬’শ ৯১ জন। সমাজসেবা অধিদপ্তরের মাধ্যমে জনপ্রতি মাসিক প্রত্যেক বিধবা পাচ্ছেন ৫’শ ও প্রতিবন্ধীরা পাচ্ছেন ৭’শ ৫০ টাকা করে। নির্ধারিত সময়ে মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে সুফলভোগীর মোবাইলে পৌঁছে যাচ্ছে আর্থ। এতে করে সন্তোষ প্রকাশ করেছে পিছিয়ে পড়া বিশাল এ জনগোষ্ঠী। সমাজ সেবা বিভাগ জানায়, ভাতাভোগী মোট বিধবাদের মধ্যে সদর উপজেলায় রয়েছেন ১০ হাজার ১’শ ৫১, দৌলতখানে ৪ হাজার ২’শ ১৩, বোরহানউদ্দিনে ৪ হাজার ২’শ ১০, তজুমদ্দিনে ৩ হাজার ৮’শ ১১, লালমোহনে ৪ হাজার ২’শ ৯, চরফ্যাসনে ৬ হাজার ৩’শ ৩১ ও মনপুরা উপজেলায় ২ হাজার ২’শ ৫৪ জন রয়েছেন। এছাড়া পৌর এলাকায় বিধবা ভাতা পান ৬’শ ৫ জন। একইভাবে প্রতিবন্ধী ভাতাভোগীদের উপজেলা সদরে রয়েছে ৪ হাজার ৯’শ ৮৮ জন, দৌলতখানে ২ হাজার ২’শ ৫০ জন, বোরহানউদ্দিনে ২ হাজার ৬’শ ৭৭, তজুমদ্দিনে ১ হাজার ৩’শ ৭৮, লালমোহনে ৩ হাজার ৫’শ ২৬, চরফ্যাসনে ৬ হাজার ১’শ ৮৮ ও মনপুরায় ১ হাজার ১ হাজার ১’শ ৫১ জন। এর বাইরে শহর এলাকায় রয়েছে আরো ৫’শ ৩৩ জন প্রতিবন্ধী ভাতাভোগী।
জেলা সমাজ সেবা অধিদপ্তরের উপ পরিচালক মো: নজরুল ইসলাম জানান, আমাদের সমাজে একজন নারী বিধবা হলে তার আয়ের পথ বন্ধ হয়ে যায় এবং জীবনে দুর্ভোগ নেমে আসে। তাই সরকার উদ্যোগী হয়ে বিধবাদের জন্য ভাতার ব্যবস্থা করেছেন। এতে করে ৩ মাস পর পর ভাতার ১৫’শ টাকায় ৫টি মুরগী কিনে পালন করে ডিম-বাচ্চা বিক্রি করলে সে চলতে পারে। আয়ের পথ সৃষ্টি হয়। আবার কেউ কেউ ওষুধ কেনাসহ নানান প্রয়োজনে ব্যয় করছেন এ টাকা। নজরুল ইসলাম বলেন, এছাড়া প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা সমাজের সবচে পিছিয়ে পড়া ও অসহায় মানুষ। তারা অনেক ক্ষেত্রেই অবহেলিত। ভাতা পাওয়ার ফলে সমাজে তাদের মর্যাদা বৃদ্ধি পাচ্ছে। মূলত সরকারের এসব সামাজিক নিরাপত্তা বলয়ের মাধ্যমে এসব মানুষের জীবন মানের উন্নয়ন ঘটানো হচ্ছে। প্রতিনিয়ত এ কার্যক্রম সম্প্রসারণ হচ্ছে বলে জানান জেলা সমাজ সেবার প্রধান এ কর্মকর্তা।

দয়া করে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..