শনিবার, ২০ জুলাই ২০২৪, ১০:০২ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
সড়ক ও জনপথ কর্মকর্তার ব্যাংকে শত কোটি টাকার লেনদেন হরিরামপুরে ৪ ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা অর্জনের অভিযোগ ডিপিএইচই’র প্রাক্কলনিক আনোয়ারের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের উন্নয়নে চীনের সমর্থন অব্যাহত রাখার আশ্বাস দিলেন শি জিনপিং বেনজীর-মতিউর-এর কুশপুতুল দাহ করায় হুমকি : উদ্বেগ প্রকাশ কোটা সমস্যার সমাধান করার দাবি জাতীয় শিক্ষাধারার হরিরামপুরে পদ্মা তীর রক্ষা বাঁধে ধস, জনমনে আতংক মুরাদনগর শ্রীকাইলে ক্যাপ্টেন নরেন্দ্রনাথ দত্ত স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনালে হুরোয়া চ্যাম্পিয়ন তাড়াইলের কথিত পীর লুৎফর রহমানের বিরুদ্ধে ইউএনও বরাবর লিখিত অভিযোগ বর্ষার পানি বৃদ্ধির সঙ্গে বাড়ছে নৌকার চাহিদা

১২ বছরে পাটের হারানো সুদিন ফিরে এসেছে : কৃষিমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক:
  • আপলোডের সময় : রবিবার, ৬ মার্চ, ২০২২
  • ৬০৪৫ বার পঠিত

নিজস্ব প্রতিনিধি:

কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, বিএনপি ও জোট সরকারের আমলে দেশের পাটশিল্প ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল। গত ১২ বছরে আমাদের সরকারের নানামুখী উদ্যোগের ফলে পাটের হারানো সুদিন ফিরে এসেছে।

আজ রোববার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জাতীয় পাট দিবসের আলোচনা ও পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কৃষিমন্ত্রী এ কথা বলেন। বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বস্ত্র ও পাট সচিব মো. আব্দুর রউফ। স্বাগত বক্তব্য দেন পাট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আতাউর রহমান। অনুষ্ঠানে পাট উৎপাদন ও ব্যবসার সঙ্গে জড়িত বিভিন্ন অংশীজনের প্রতিনিধিরা পাট ও পাটশিল্পের বিভিন্ন সমস্যা তুলে ধরে বক্তব্য দেন। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ১১ জনকে জাতীয় পাট পুরস্কার প্রদান করা হয়।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, ২০০৫-০৬ সালে পাটের উৎপাদন ছিল মাত্র ১০ লাখ মেট্রিক টন। বর্তমানে পাটের উৎপাদন প্রায় ১৭ লাখ মেট্রিক টন।১২ বছরে উৎপাদন প্রায় দ্বিগুণ বেড়েছে।

পাটবীজের জন্য আমরা কোন দেশের উপর নির্ভরশীল না থেকে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে চাই। সে লক্ষ্যে কৃষি মন্ত্রণালয় রোডম্যাপ প্রণয়ন করেছে। ভারতে তাদের অনুর্বর জমিতে পাটবীজ চাষ করে কম দামে আমাদের দেশে রপ্তানি করে থাকে। আমাদের কৃষকেরা অন্যান্য ফসলের তুলনায় পাটবীজ চাষে খুব বেশি আগ্রহী নয়। তবে ইতোমধ্যে আমাদের পাট গবেষণা ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানীরা পাটের উন্নত জাত উদ্ভাবন করেছে, যা ভারতের জাতের চেয়ে অনেক ভালো। কৃষকদের মাঝে এটির চাষ জনপ্রিয় করতে কাজ চলছে। আমরা আশা করছি, আগামী তিন বছরের মধ্যে বাংলাদেশ পাটবীজ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ হবে। ৩ বছর পরে ভারত থেকে পাটবীজ আর আমদানি করতে হবে না।

এসময় ভারতকে পাটের ক্ষেত্রে এন্টি-ডাম্পিং না করার আহ্বান জানিয়ে কৃষিমন্ত্রী বলেন, আমরা অনেকবার ভারতকে বলেছি এন্টি ডাম্পিং না করতে। কিন্তু তারা কথা শুনছে না। তবে বর্তমান সরকার অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে পাটের উৎপাদন ও রপ্তানি বৃদ্ধিতে কাজ করছে। যাতে করে ভারতের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে আমরা টিকে থাকতে পারি। সোনালী আঁশের সুদিন আবার ফিরিয়ে আনতে পারি। ড. রাজ্জাক আরও বলেন, স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে পাট ও পাটপণ্যের চাহিদা ক্রমশ বাড়ছে। পাটের সম্ভাবনার সাথে শাকসবজি ও ফলমূল রপ্তানির সম্ভাবনাকে পুরোপুরি কাজে লাগাতে পারলে, বছরে কৃষিপণ্যের রপ্তানি আয় শিগগিরই ১০ বিলিয়ন ছাড়িয়ে যাবে।

দয়া করে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..