নিজস্ব প্রতিবেদক: , আপলোডের সময় : মঙ্গলবার, ৮ মার্চ, ২০২২ , আজকের সময় : মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর, ২০২৪

কোন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হলে বিএনপির ভয়াবহ পরিণতি হবে :ওবায়দুল কাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক:

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকার ইস্যুটি এখন একটি ডেড ইস্যু, পাস্ট অ্যান্ড ক্লোজ চ্যাপ্টার। আন্দোলনের নামে বিএনপি দেশের গণতান্ত্রিক ধারাকে বিনষ্ট করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হলে তাদেরকে ভয়াবহ পরিণতির সম্মুখীন হতে হবে।’

আজ মঙ্গলবার গণমাধ্যমে দেওয়া এক বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের এ কথা বলেন। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিএনপি নেতাদের বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে এই বিবৃতি দেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আগামী নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হবে। বিএনপি যদি তথাকথিত আন্দোলনের নামে এদেশের গণতান্ত্রিক ধারাকে বিনষ্ট করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয় এবং আবারও ২০১৩, ১৪, ১৫ ও ২০১৮ সালের মতো অগ্নিসন্ত্রাস ও ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড ঘটাতে চায়, তাহলে তাদেরকে ভয়াবহ পরিণতির সম্মুখীন হতে হবে। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে দুর্বার প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে।’

ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, ‘আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, পবিত্র সংবিধান হলো দেশের অস্তিত্ব, সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্রের রক্ষাকবচ। সংবিধান অনুযায়ীই এদেশের সব নির্বাচন হবে। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই সংবিধানসম্মতভাবে নির্বাচনকালীন সরকার হবে এবং যথাসময়েই আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে।’

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিএনপির নেতারা চিরাচরিতভাবে মিথ্যাচার ও অপপ্রচারে লিপ্ত রয়েছে। নির্বাচন কমিশন নিয়ে লাগাতার মিথ্যাচার ও অপপ্রচারের পর তারা এখন অতীতের মতো নির্বাচনকালীন সরকার ব্যবস্থা নিয়েও উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে নানা ধরনের বিভ্রান্তিকর মন্তব্য করছে।’

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, ‘বিএনপির নেতারা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কথা বলছেন অথচ বিএনপিই তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছে। ক্ষমতা কুক্ষিগত করতে এবং পেছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতা দখলের ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নে বিএনপি বারবার তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করেছে।’

সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপির নেতাদের বুঝতে হবে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ইস্যুটি এখন একটি ডেড ইস্যু, পাস্ট অ্যান্ড ক্লোজ চ্যাপ্টার। জল বহুদূর গড়িয়েছে। তত্ত্বাবধায়ক ইস্যুতে সেই একই জায়গায় হাবুডুবু খেতে থাকলে বিএনপিকে গভীর জলে ডুবে মরতে হবে। গণতন্ত্রের নৌকা বহুদূর এগিয়ে গেছে, তাতে উঠতে হলে অনেকটা পথ সাঁতরে পাড়ি দিতে হবে। এখনও সময় আছে, বিএনপিকে সংবিধান ও আইনের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করে গণতান্ত্রিক রাজনীতির সঠিক ধারায় পথ চলার। দেশবাসী ভুলে যায়নি, ১৯৯১ সালের নির্বাচনের পর ক্ষমতাসীন হয়ে বিএনপি জাতির সঙ্গে প্রতারণা করেছে এবং তিন জোটের রূপরেখাকে পদদলিত করে নতুন পোশাকে স্বৈরাচারী শাসনব্যবস্থার আবির্ভাব ঘটায়।’

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘একমাত্র শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারই শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর করেছে। আর বিএনপি ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করতে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাকে বার বার বিতর্কিত ও প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। এখন তারা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জন্য মায়া কান্না করে।’