সাইফুল ইসলাম ফুয়াদ (বেতাগী দক্ষিন প্রতিনিধি):
ইউক্রেনের অলভিয়া বন্দরে রকেট হামলায় নিহত ‘এমভি বাংলার সমৃদ্ধি’ জাহাজের প্রকৌশলী হাদিসুর রহমানের নামাজে জানাজা সম্পন্ন হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল ১০টায় তার গ্রামের বাড়ি বরগুনার বেতাগীতে নামাজে জানাজায় হাজারও মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
হাদিসুরের বাড়ির পূর্ব পাশের মাঠে জানাজা নামাজ পড়ান বেতাগী কেন্দ্রীয় মসজিদের পেশ ইমাম মাওলানা মোঃ জিয়াউল হক।
এর আগে সোমবার দুপুর ১২টার পর হাদিসুরের মরদেহ বহনকারী টার্কিশ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট ঢাকার হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরে অবতরণ করে। হাদিসুর রহমানের মরদেহ গ্রহণ করেন তার ছোট ভাই গোলাম মাওলা প্রিন্স। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন বরগুনা-২ আসনের সংসদ সদস্য শওকত হাসানুর রহমান রিমন।
তারপর সোমবার রাত ৯টা ৪৩ মিনিটে হাদিসুরের মরদেহ তার গ্রামের বাড়ি বরগুনার বেতাগীতে পৌঁছায়। এ সময় কান্নায় ভেঙে পড়েন হাদিসুরের পরিবারের সদস্যসহ এলাকাবাসী। মরদেহ গ্রহণ করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সূহৃদ সালেহীন।
ইউক্রেনের অলভিয়া বন্দরে আটকে থাকা অবস্থায় গত ২ মার্চ রকেট হামলার শিকার হয় বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের মালিকানাধীন জাহাজ ‘বাংলার সমৃদ্ধি’। এতে নিহত হন ওই জাহাজের থার্ড ইঞ্জিনিয়ার হাদিসুর রহমান।
ওই জাহাজে থাকা হাদিসুরের সহকর্মীরা অনেক পথ পেরিয়ে গত বুধবার ঢাকায় আসেন। জাহাজ থেকে নেমে নিরাপদ আশ্রয়ের বাংকার পর্যন্ত মরদেহ নিয়ে এসেছিলেন তারা। তবে যুদ্ধের ময়দান থেকে আর তা তাদের সঙ্গে আনতে পারেননি। হাদিসুরের মরদেহ রাখা হয়েছিল বাংকারের ফ্রিজারে।
শুক্রবার ভোরে ইউক্রেন থেকে রওনা হয়ে হাদিসুরের লাশবাহী গাড়ি রাতে প্রতিবেশী দেশ রোমানিয়ার রাজধানী বুখারেস্টে পৌঁছায়। সেখান থেকে টার্কিশ এয়ারওয়েজের একটি কার্গো ফ্লাইটে শনিবার রাতে মরদেহ পাঠানো হয় দেশের উদ্দেশ্যে। রোববারই মরদহে বাংলাদেশে পৌঁছানোর কথা ছিল। তবে তুরস্কের ইস্তাম্বুলে বিরূপ আবহাওয়ায় ফ্লাইট বাতিল হওয়ায় রোববার হাদিসুরের মরদেহ দেশে আনা সম্ভব হয়নি।