ভোলা প্রতিনিধি: , আপলোডের সময় : শনিবার, ১৯ মার্চ, ২০২২ , আজকের সময় : শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪

চরফ্যাশনে শিক্ষার্থী চৈতীর অস্বাভাবিক মৃত্যু : বিচারের দাবিতে মানববন্ধন

ভোলা প্রতিনিধি:

ভোলার চরফ্যাশন সরকারি কলেজের মেধাবী শিক্ষার্থী শাশ্বতী রায় চৈতীর অস্বাভাবিক মৃত্যুর সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে ভোলার চরফ্যাশন সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীরা।

শনিবার (১৯ মার্চ) সকাল ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করেন কলেজের সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা। এ সময়ে তারা ঘটনাটির সুষ্ঠু তদন্ত করে দ্রুত বিচারের দাবি জানায়।

মানববন্ধনে চৈতীর শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে তাকে নানাভাবে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতনেরও অভিযোগ করেন তারা। নিহত চৈতী চরফ্যাশন বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক সুভাষ চন্দ্র রায়ের মেয়ে। চৈতীর বাবার দাবি, তাকে শ্বশুরবাড়ির লোকজন হত্যা করে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলিয়ে রেখে আত্মহত্যা বলে প্রচার করছে।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, মাধ্যমিকে পড়াকালীন চৈতীর সঙ্গে প্রেম হয় একই এলাকার মানস মজুমদার শাওন নামে এক যুবকের। দীর্ঘ ৯ বছর প্রেম সম্পর্কের পূর্ণতা পায় ২০২১ সালে তাদের বিয়ের মাধ্যমে। কিন্তু এরপর থেকেই শ্বশুরবাড়ির লোকজনের দ্বারা বিভিন্নভাবে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হয় চৈতী। বিয়ের প্রায় এক বছরের মাথায় গত ৪ মার্চ ভোরে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় চৈতীর লাশ পাওয়া যায়। খবর পেয়ে শ্বশুরবাড়ি থেকে চৈতীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

তার বলেন, ‘চৈতীর এ মৃত্যু রহস্যজনক। আমরা চরফ্যাশন সরকারি কলেজের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের একটাই দাবি, চৈতীর এই রহস্যজনক মৃত্যুর সঠিক তদন্ত যেন নিশ্চিত করা হয় এবং জড়িতদের দ্রুত বিচার নিশ্চিত করা হয়।’

এটিকে ‘পরিকল্পিত হত্যা’ দাবি করে চৈতীর বাবা সুভাষ চন্দ্র রায় বলেন, ‘আমার মেয়ে মাস্টার্সের ছাত্রী। সমির চন্দ্র মজুমদারের ছেলে শাওন প্রথমে আমার মেয়ের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক করে। পরে আমরা উভয় পরিবার আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের দুজনের বিয়ে দেই। আমার মেয়েকে তার শ্বশুর, শাশুড়ি ও স্বামী দীর্ঘদিন ধরে যৌতুকের জন্য অত্যাচার-নির্যাতন করে আসছে। তারা যৌতুকের টাকা না পেয়ে পরিকল্পিতভাবে আমার মেয়েকে হত্যা করেছে। আমি দেশের প্রচলিত আইনে এ হত্যার বিচার চাই।’

মানববন্ধনে চরফ্যাশন সরকারি কলেজের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, সাইদুল ইসলাম, তানভীর আহমেদ ও নওশাদ প্রমুখ।