নিজস্ব প্রতিবেদক:
জাতিসংঘে গতকাল বৃহস্পতিবার উত্থাপিত প্রস্তাব ইউক্রেনের নিপীড়িত-অসহায় মানুষের সুরক্ষা ও মানবতার পক্ষে ছিল, তাই বাংলাদেশ পক্ষে ভোট দিয়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে আজ শুক্রবার সকালে এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
এ সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের ইয়েস বলার মূল কারণ হলো—মানবিক কারণ। আমরা পৃথিবীতে মানবিক দেশ হিসেবে সুপরিচিত। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্যাতন থেকে রক্ষার জন্য ১১ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়ে মাদার অব হিউম্যানিটি অর্জন করেছেন। আমরা মানবিক ইস্যুর ক্ষেত্রে অনেক সোচ্চার, এ কারণেই আমরা এ প্রস্তাবে রাজি হয়েছি।’
আগের প্রস্তাবে বিরত থাকার কারণ জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা যুদ্ধবিগ্রহ চাই না। আগের প্রস্তাবটা খুব একতরফা ছিল। এবং সেখানে মোটামুটিভাবে রাশিয়াকে শুধু দোষারোপ করা হয়েছিল।’
ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধে সৃষ্ট মানবিক সংকট নিরসনে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার প্রশ্নে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে উত্থাপিত প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়েছে বাংলাদেশ। এর আগে ২ মার্চ ইউক্রেনে হামলা বন্ধে প্রস্তাব পাস হয় সাধারণ পরিষদে। সে সময় বাংলাদেশ ভোট দেওয়া থেকে বিরত ছিল। ইউএন নিউজ এ খবর জানিয়েছে।
নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সদর দপ্তরে নিরাপত্তা পরিষদের জরুরি অধিবেশনে স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার প্রস্তাবটির পক্ষে ভোট দেয় ১৪০ সদস্য দেশ। প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দিয়েছে পাঁচটি দেশ। আর, ভোট দেওয়া থেকে বিরত ছিল ৩৮ দেশ।
প্রস্তাবটি বুধবার উত্থাপন করে ইউক্রেন। যদিও পাস হওয়া এ প্রস্তাব মানার বাধ্যবাধকতা নেই রাশিয়ার।
গত বুধবার জাতিসংঘে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত লিন্ডা থমাস গ্রিনফিল্ড বলেছিলেন, ‘ইউক্রেনের প্রস্তাবে সহিংসতা বন্ধ করতে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের কাছে আহ্বান জানানো হয়েছে। এদিন রাশিয়াও ইউক্রেনের ‘মানবিক পরিস্থিতি’ নিয়ে নিরাপত্তা পরিষদে একটি প্রস্তাব উত্থাপন করেছিল। তবে, সেটি গ্রহণ করেনি পরিষদ।
এর আগে গত ২ মার্চ জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ইউক্রেনে হামলা বন্ধে পাস হওয়া প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়েছিল ১৪১ দেশ।