মনজুর মোর্শেদ তুহিন (জেলা প্রতিনিধি, পটুয়াখালী):
পটুয়াখালীতে ২০ কোটি টাকা মুক্তিপণের দাবিতে অপহৃত শহরের ধনাট্য ব্যবসায়ী ও তার গাড়ী চালককে ২৫ ঘন্টার মধ্যে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ।
পটুয়াখালী সদর গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় দিনভর অভিযান চালিয়ে মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে পটুয়াখালী শহরের কাজীপাড়া এলাকার এসপি কমপ্লেক্সের গাড়ি পার্কিং (আন্ডারগ্রাউন্ড) থেকে তাদের উদ্ধার করে। বস্তা বন্দি ও বোরকা পরা অসুস্থ অবস্থায় তাদেরকে পুলিশ উদ্ধার করে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাতেই বরিশাল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
যানা যায়, প্রথম শ্রেনীর ঠিকাদার শিবু লাল দাস (৬২) পটুয়াখালীর শহরের একজন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী। তিনি পুরান বাজারস্থ আখড়াবাড়ি শ্রী শ্রী মদন মোহন জিউর মন্দিরের সভাপতি ও সৎসঙ্গ মন্দিরের সাধারন সম্পাদক।
তার পরিবার ও পুলিশসূত্রে জানা যায়, গত সোমবার বেলা ১১টার দিকে শহরের পুরানবাজারস্থ নিজ বাসা থেকে ব্যবসায়িক কাজে ড্রাইভার মিরাজ সহ ব্যক্তিগত প্রাডো গাড়ি নিয়ে গলাচিপা যান। দিনভর কাজ শেষে রাত ৯টার দিকে গলাচিপার হরিদেবপুর খেয়াঘাট থেকে পটুয়াখালী আসার পথে রাত ১০টার পূর্বেই তিনি ও তার চালক মিরাজ গাড়ীসহ নিখোঁজ হয়। রাত সাড়ে ৯টা থেকেই তাদের মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
পরিবারের সদস্যদের মধ্যে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা দেখা দেয়। পরিবার থেকে পুলিশে মৌখিকভাবে অভিযোগ করা হয়। পুলিশ ও তাদের পরিবারের খোঁজাখুজির চেষ্টা অব্যাহত থাকে। রাত ৩টার দিকে অপহরণকারীরা শিবু লাল’র স্ত্রী বিউটি দাস’র কাছে ফোন কল দিয়ে জানায়, ‘শিবুকে পেতে হলে ২০ কোটি টাকা লাগবে’। জবাবে স্ত্রী ‘দিব টাকা’ বললে অপহরণকারীরা ফোন কেটে দেয়। মুক্তিপন দাবী করার অডিও রেকর্ডও রয়েছে।
পরদিন মঙ্গলবার সকালে আমতলীর আমড়াগাছিয়া এলাকার একটি তেলের পাম্পে শিবু লাল’র ব্যবহৃত গাড়ীটি একাধিক সিট ভাংচুর অবস্থায় পুলিশ উদ্ধার করে। গাড়িতে একটি খেলনা পিস্তল ও চালক মিরাজের ব্যবহৃত জুতা পাওয়া যায়। গোয়েন্দা পুলিশ তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় অভিযান চালিয়ে ওই স্থান চিহ্নিত করে। পরে তল্লাশি চালিয়ে তাদের উদ্ধার করা হয়।
Print [1]