জেলা প্রতিনিধি (পটুয়াখালী): , আপলোডের সময় : শনিবার, ২১ মে, ২০২২ , আজকের সময় : শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪

আমার বিরুদ্ধে প্রকাশিত নিউজ সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত: এএসআই বিশ্বজিৎ

জেলা প্রতিনিধি (পটুয়াখালী):

শনিবার (২১-মে) ‘মির্জাগঞ্জে চা-দোকানির মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিলেন এএসআই’ শিরোনামে একটি দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত বলে মন্তব্য করেছেন প্রকাশিত নিউজে অভিযুক্ত পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ থানায় কর্মরত এএসআই বিশ্বজিৎ মজুমদার।

গত শনিবার (২১-মে) তার বিরুদ্ধে হওয়া নিউজ নিয়ে তার প্রতিক্রিয়ায় তিনি উক্ত মন্তব্য করেন। তিনি বলেন আমি কারো মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেইনি বরং ‘লিটু দাস’ বিভিন্ন চোরাই মোবাইল বিক্রি করে এমন গোপন তথ্যের ভিত্তিতে রেগুলার রুটিন ওয়ার্কের জন্যই তাকে (লিটু দাসকে) জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় এবং সে কোন সদুত্তর দিতে না পারায় এবং তার মোবাইলের কোন কাগজ-পত্র দেখাতে না পারায় তার মোবাইলটি অফিসিয়ালভাবে জব্দ করা হয় যা ঘটনার সময় উপস্থিত দুজন ব্যক্তিকে স্বাক্ষী রেখেই মোবাইলটি জব্দ করা হয়। এএসআই বিশ্বজিৎ আরো জানান ঘটনার সময়ে ধারন কৃত ভিডিও ও আমার কাছে ও থানা কর্তৃপক্ষের রয়েছে। তাছাড়াও নিউজ প্রকাশিত হওয়ার পরে স্থানীয় অনেক সিনিয়র সাংবাদিকসহ লিটু দাসকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে কিন্তু লিটু দাস বলেছেন আমি ঐ সাংবাদিককে কখনো বলিনি যে আমার মোবাইল জোরপূর্বক নেয়া হয়েছে পত্রিকায় কি লিখছে তাও আমি জানিনা।

প্রতিবেদক ভিডিও করার কারন জানতে চাইলে? এএসআই বিশ্বজিৎ বলেন আমরা এটা সবসময়ই করে থাকি কোন কিছু জব্দ করা হলে আমরা তার ভিডিও ধারন করে নিজের কাছে ও থানায় জমা দিয়ে রাখি যাহাতে কেহ কোন অভিযোগ দিতে না পারে। কিন্তু ওই সাংবাদিক ঘটনার কোন সত্ততা না জেনেই আমাকে হেয়-প্রতিপন্ন করার উদ্দ্যেশে মিথ্যা ও বানোয়াট নিউজটি প্রকাশ করেন যা অত্যান্ত দুঃখজনক।

সাংবাদিকের সাথে কোন পূর্ব শত্রুতা আছে কিনা জানতে চাইলে: এএসআই বিশ্বজিৎ বলেন তিনি অনেক আগে একটি মামলার বিষয়ে সুপারিশ করেছিলো কিন্তু সত্যতার কারনে তার সুপারিশ রাখতে পারিনি হতে পারে সে জন্য ক্ষিপ্ত হয়ে তিনি এই ভিত্তিহীন নিউজটি করেছেন।

চা-দোকানী লিটু দাসের সাথে বার বার চেষ্টা করেও তার মোবাইল (০১৭৭৬-২৭৬০৩৮/০১৭৪৮-৪৯৫১৪৬) ফোন বন্ধ পাওয়ায় তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

প্রকাশিত নিউজের উপজেলা প্রতিনিধির সাথে মুঠোফোনে প্রকাশিত নিউজের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান যথেষ্ট তথ্য প্রমান নিয়েই নিউজ করেছি এর বেশি কিছু জানতে হলে সরাসরি আসেন কথা বলি।

ঘটনার সময় উপস্থিত ও মোবাইল জব্দ করার সময়ের স্বাক্ষী মো: জাহাঙ্গীর মুন্সি ভেন্ডার (৫৩) এর কাছে মুঠোফোনের মাধ্যমে বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি জানান ওখানে মোবাইল ছিনতাই বা চা-দোকানীর থেকে কোনভাবে জোরপূর্বক নেয় নাই এটা যদি কেহ বলে থাকে তা সম্পূর্ন মিথ্যা কথা। এএসআই সাহেব ভদ্র ভাবেই মোবাইল নিছে এবং এ সময় আরো অনেক লোকজন উপস্থিত ছিলো, একটা নির্দোষ মানুষের ক্ষতি করা ঠিক হবে না।

ঘটনার সময় উপস্থিত ও মোবাইল জব্দ করার সময়ের আরেকজন স্বাক্ষী মো: জসীম উদ্দিনের কাছে ঘটনার বিষয়ে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি জানান: না ওখানে ছিনতাই বা জোরপূর্বক মোবাইল নেয়ার মতো কোন ঘটনা ঘটে নাই, সাংবাদিক সাদ্দাম লিটু দাসকে দুমকী-টুমকী দিয়া ওই নিউজটা করছে লিটুর বা স্যারের কোন দোষ নাই সাংবাদিক সাদ্দাম স্যারের বিরুদ্ধে স্বরযন্ত্র করছে তার পর আবার মির্জাগঞ্জের অনেক সাংবাদিকরা খোজ-খবর নিয়া দেখছে ও লিটু দাসের সাথে কথা বলছে তাতে নিউজের কোন সত্যতা পাওয়া যায় নাই। তিনি আরো বলেন আমি ও ওই সময় উপস্থিত থাকা স্থানীয় লোকজন স্যারকে (এএসআই বিশ্বজিৎকে) অনুরোধও করেছিলাম যে মোবাইলটি ফেরত দিতে এবং সে অনুযায়ী স্যারও বলেছিলো যে, সকালে মোবাইলটি ফেরত দিবে কিন্তু মাঝখানথেকে সাদ্দাম শুধু স্যারেরে ফাসানোর জন্য নিউজ করছে।

প্রকাশিত নিউজের বিষয়ে উপজেলা প্রেসক্লাব মির্জাগঞ্জের সিনিয়র এক সাংবাদিকের কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে তিনি বলেন এএসআই বিশ্বজিৎ এক অভিযোগের ভিত্তিতে দোকানীর থেকে নরমাল ভাবেই মোবাইল জব্দ করেছে জোরপূর্বক নিয়েছে মর্মে কোন সত্যতা পাওয়া যায় নাই।

এ বিষয়ে মির্জাগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: আনোয়ার হোসেন বলেন বিষয়টি পুলিশ সুপার মহোদয় তদন্ত করছেন তিনি তদন্ত পূর্বক  প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন।