মনজুর মোর্শেদ তুহিন (জেলা প্রতিনিধি,পটুয়াখালী):
নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকদের ৬ষ্ঠ-৮ম শ্রেণী পর্যন্ত পাঠদানের অনুমতি থাকলেও পটুয়াখালী সদর উপজেলার মরিচবুনিয়া ইউনিয়নে দক্ষিণ বাজারঘোনা আলহাজ্ব আসমত আলী নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে বর্তমান ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক এর স্বেচ্ছাচারিতায় অতিরিক্ত বেতন, সেশন ফি, বাৎসরিক ফি অর্জনের জন্য ৯মও ১০ম শ্রেণীর ছাত্র-ছাত্রীদের পাঠদানের নামে ভর্তি করে থাকেন।
২-সেপ্টেম্বর ২০১৮ থেকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করে আসছেন শিক্ষক জব্বার মাস্টার। দায়িত্বভার গ্রহণের পর থেকেই জব্বার মাস্টার নবম ও দশম শ্রেণীদের জন্য অতিরিক্ত ভর্তি ব্যবস্থা চালু করেন এবং শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে যথারীতি বেতন ভাতা ,সেশন ফি ,বাৎসরিক ফি, খেলাধুলা ফি বিবিধ চালু করলেও এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের ব্যবস্থা করেন ”হাজীখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয় ” থেকে ।
এছাড়া বিদ্যালয়ের বিদ্যুৎ সংযোগ থাকায় সরকারিভাবে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধিত হলেও ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণীর সকল ছাত্রছাত্রীদের নিকট থেকে বিদ্যুৎ বাবদ ছাত্র প্রতি মাসিক ১০ টাকা চাঁদা আদায় হয়। উক্ত বিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রীদের অভিভাবক মন্নান সিকদার জানান, বিদ্যালয়ে ছাত্রদের সুপেয় পানির জন্য একটি টিউবওয়েল ব্যবস্থা করেন শিক্ষা অফিস কিন্তু সেখানেও টিউবওয়েল স্থাপনার জন্য কোমলমতি শিশুদের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করা হয়েছিল। এদিকে সম্প্রতিক অত্র বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ও জমিদাতা এবং ছাত্র ছাত্রীদের অভিভাবকগনকে না জানিয়ে গোপনে একটি ম্যনিজিং কমিটি গঠন করা হয়। ভূতরে ভাবে তৈরি করা এ কমিটিকে কেন্দ্র করে অত্র বিদ্যালয়ের অভিভাবক ও স্থানীয় সাধারণের মধ্যে চলছে ব্যপক আলোচনা ও সমালোচনা।
উক্ত কমিটির সদস্য সচিব বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোঃ জব্বার মাস্টার বলেন, সময় সল্পতার জন্য চার সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি করে মনিরুজ্জামান টিটু মৃধাকে অত্র বিদ্যালয়ের এড হাক কমিটির সদস্য করা হয়েছে এতে আমাদের শিক্ষা নিতিমালার সকল শর্ত মেনে করা হয়েছে ।
চাঁদা আদায়ের ব্যাপারে জব্বার মাস্টার বলেন যে বিল আসে তা সকলে দেয় না তবে কিছু শিক্ষার্থী দিলেও বাকিরা দিতে চায় না। ৯ম ও১০ম শ্রেণীর পাঠ দানের ব্যাপারে বলেন , অত্র প্রতিষ্ঠানকে বাচাঁতে উপর মহলে আলোচনা করে এ পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। অত্র বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা আলহাজ মো: মোশারফ হোসেন সিকদারের বড় ছেলে আলহাজ্ব মো: জাকির সিকদার বলেন,অত্র বিদ্যালয়ের পূর্বের কমিটির বিরুদ্ধে কোর্টে মামলা চলমান ।
কিভাবে শিক্ষক জব্বার মাষ্টার হঠাৎ করেই কাউকে কিছু না জানিয়ে নতুন কমিটি গঠন করেন এটা কাহারোই বোধগম্য নয়। এছাড়া কিভাবে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক অতিরিক্ত অর্থ আদায় করেছেন প্রশাসনিকভাবে এর সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করছি।
অত্র বিদ্যালয়ের আরেক শিক্ষার্থীর পিতা এবং অভিবাবক হানিফ সরদার বলেন, রাতের আধাঁরে কমিটি গঠন করে প্রধান শিক্ষক অত্র বিদ্যালয়ে এক নায়তন্ত্র কায়েম করতে চায় এবং তার সকল খারাপ কার্যক্রম চালানোর জন্য রাতের আধারেঁ অবৈধ ভাবে এড হাক কমিটি গঠন করেছে । আমরা উক্ত কমিটি দ্রুত সময়ে বিলুপ্ত দেখতে চাই তাছাড়া তার বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে চাঁদা ও নিয়ম বহির্ভূত ভাবে ৯বম ও ১০ শ্রেনীর ছাত্র ভর্তি বিষয়ে দ্রুত তদন্ত সাপেক্ষ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য দাবি জানাই ।