বেতাগী (বরগুনা) প্রতিনিধি:
দুর্নীতি,ক্ষমতার অপব্যবহারসহ বিভিন্ন অভিযোগ বেতাগী উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. আমানুল্লাহ আল-মামুনকে পুন:রায় প্রত্যাহার করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
এতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, সাধারণ মানুষ ও কর্মচারিদের মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. আমানুল্লাহ আল-মামুনকে জনস্বার্থে ২৬ জুলাই বরগুনার বেতাগী থেকে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার কার্যালয় বানড়ীপাড়া, বরিশাল বদলী করে কর্তৃপক্ষ।
এর আগে গত ১৩ জুন প্রথম দফায় মনপুরা ভোলা বদলী হলেও হঠাৎ করে গত ২২ জুন স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সাময়িক বদলির আদেশ স্থগিত করে। গত ২৬ জুলাই স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ঢাকা মহাখালীর এক স্মারকে অধিদপ্তরের পরিচালক প্রশাসন অধ্যাপক মো: শফিউল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপন জারি করেন।
এ আদেশ দুই কর্মদিবসের মধ্যে কার্যকর করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এবং এতে বলা হয়েছে বদলিকৃত কর্মকর্তা আগামী দুই কর্মদিবসের মধ্যে দায়িত্বভার হস্তান্তর করবেন। অন্যথায় তিন দিনের দিন হতে সরাসরি অবমুক্ত হয়েছেন বলে গণ্য হবেন।
বেতাগী উপজেলায় কর্মরত অবস্থায় তার কর্মকান্ড সন্তোষ জণক নয় বলে তাকে শাস্তিযোগ্য বদলী করা হয় এমনটাই জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
জানা গেছে,স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আমানুল্লাহ আল মামুনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি,ক্ষমতার অপব্যবহার, দায়িত্বে অবহেলাসহ নানা অনিয়য়েমর অভিযোগ রয়েছে। এ সব অভিযোগে গত ১৬ মে তার বিরুদ্ধে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ৩৭ জন স্বাস্থ্য সহকারী ও সিএইচসিপি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহা-পরিচালক বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন।
অভিযোগের এক সপ্তাহ পর ২৪ মে স্বাস্থ্য কর্মকর্তার অপসারনের দাবিতে কর্মবিরতি পালন করে তারা। কিন্তু এরপরেও স্বাস্থ্য কর্মকর্তা অপসারণ না হওয়ায় গত রবিবার (১২ জুন) স্থানীয় বিক্ষুব্ধ জনতা তাঁর অফিসে তালা লাগিয়ে তাঁকে অবরুদ্ধ করে। একপর্যায়ে ঢাকা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের গঠিত তদন্ত কমিটি ১৩ জুন (সোমবার) উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরিদর্শন ও তদন্ত করেন।