সংবাদ প্রকাশের সূত্র ধরে দৈনিক দেশ রূপান্তর পত্রিকার প্রকাশক মাহির আলী খান রাতুল ও জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক পাভেল হায়দার চৌধুরীর বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক মামলার ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে) ও ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ)।
সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ বলছেন, তথ্য-প্রমাণসহ সংবাদ প্রকাশ করা একজন সাংবাদিকের পেশাগত দায়িত্ব। সংক্ষুদ্ধ যে কেউ প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানাতে এবং আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে পারেন। কিন্তু সংবাদ প্রকাশ করলেই মামলা অপসংস্কৃতি।
মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) রাতে ডিইউজে সভাপতি সোহেল হায়দার চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসেন এক বিবৃতিতে মামলার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে অবিলম্বে হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন।
সংগঠনের দপ্তর সম্পাদক আমানউল্লাহ আমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, গত দেড় মাস আগে প্রকাশিত সংবাদকে কেন্দ্র করে দৈনিক দেশ রূপান্তর পত্রিকার প্রকাশক ও প্রতিবেদকের বিরুদ্ধে মামলা দুরভিসন্ধিমূলক। কোনো সংবাদ প্রকাশ হলেই সংশ্লিষ্ট সংবাদ মাধ্যম ও প্রতিবেদকের বিরুদ্ধে হয়ারানিমূলক মামলা দায়ের করা অপসংস্কৃতি হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সাংবাদিক ও সংবাদ মাধ্যমের ওপর হামলা বন্ধ, সকল মিথ্যা ও হয়ারানিমূলক মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়ে নেতৃবৃন্দ বলেন, অন্যথায় সাংবাদিক সমাজ এ ধরনের হয়রানিমূলক মামলা ও নির্যাতনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে বাধ্য হবে।
ডিআরইউয়ের উদ্বেগ।
অন্যদিকে সংগঠনের স্থায়ী সদস্য ও দৈনিক দেশ রূপান্তর পত্রিকার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক পাভেল হায়দার চৌধুরীর বিরুদ্ধে মামলায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ)।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দপ্তর সম্পাদক রফিক রাফি এক বিবৃতিতে ডিআরইউ সভাপতি নজরুল ইসলাম মিঠু ও সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম হাসিব এ মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে বলেন, গত ৬ জুলাই দৈনিক দেশ রূপান্তর পত্রিকার অনলাইন ও মুদ্রিত মাধ্যমে ‘ছাত্রলীগের পদ কোটি টাকা’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশের সূত্র ধরে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শহীদুল ইসলামের আদালতে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের দপ্তর সম্পাদক ইন্দ্রনীল দেব শর্মা এই মামলাটির আবেদন করেন। এ সময় বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ শেষে পাভেল হায়দার চৌধুরী ও দেশ রূপান্তর পত্রিকার প্রকাশক মাহির আলী খান রাতুলকে হাজির হতে সমন জারি করেন আদালত।
এ বিষয়ে পাভেল হায়দার চৌধুরী বলেন, ‘ছাত্রলীগের পদ কোটি টাকা’ শিরোনামে প্রতিবেদনটি সবরকম তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে করা হয়েছে। হয়রানি করতেই এই মামলা করা হয়েছে।
ডিআরইউ নেতৃবৃন্দ বলেন, তথ্য প্রমাণসহ সংবাদ প্রকাশ করা একজন সাংবাদিকের পেশাগত দায়িত্ব। সংক্ষুদ্ধ যে কেউ প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানাতে এবং আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে পারেন। কিন্তু ডিআরইউ সদস্য পাভেল হায়দার চৌধুরীর সংবাদ প্রকাশের প্রায় আড়াই মাস পরে তার বিরুদ্ধে আদালতে গিয়ে মামলা দায়ের পুরো বিষয়টিকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।
ডিআরইউ মনে করে এটি একটি হয়রানিমূলক মামলা, যা স্বাধীন সাংবাদিকতা ও বর্তমান সরকারের নীতি পরিপন্থি। তাই অবিলম্বে এই মামলা প্রত্যাহার এবং পুরো বিষয়টি সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানিয়েছে ডিআরইউ নেতৃবৃন্দ।
Print [1]