পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, ‘প্রতিবন্ধীদের কোন দোষ নেই, নানা কারণে প্রতিবন্ধী হতে পারে। প্রতিষ্ঠিত অবিচারের কারণে তারা আমাদের থেকে একটু পিছিয়ে আছে। তাদের পাশে দাঁড়ানো, স্নেহের হাত বাড়িয়ে দেওয়া আমাদের দায়িত্ব।
আজ শুক্রবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের ফ্লিম আর্কাইভ অডিটরিয়ামে এপেক্স বাংলাদেশের ‘সেবা মাস উদ্বোধন ও ক্লাবের সেবা পরিচালক সম্মেলনে’ প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ একটি পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, সারা বিশ্বে পাচ্ছে বাংলাদেশ পরিচিতি পাচ্ছে। বাংলাদেশে দারিদ্র কমছে, কিন্তু দারিদ্র এখনও আছে। বাংলাদেশের যোগাযোগ ব্যবস্থা বিদ্যুৎ, স্বাস্থ্যসেবা কৃষি প্রতিটি ক্ষেত্রে আমরা যথেষ্ট অর্জন করেছি আরও অনেক যেতে হবে।’
মান্নান বলেন, ‘লাল সবুজকে অর্জন করতে গিয়ে লক্ষ লক্ষ মানুষের রক্ত ও প্রাণ গিয়েছে। এটা আমরা সব সময় স্মরণ করি। তাদের আত্মত্যাগের কারণেই আমরা আজ মাথা উচু করে দাঁড়াতে পারছি। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে আমাদের দেশে যে ঐক্য প্রতিষ্ঠিত করেছি, সেই ঐক্য যেন সবসময় বজায় থাকে, সে জন্য কাজ করতে হবে।’
এপেক্স ক্লাবের সদস্যদের উদ্দেশ করে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘সামাজিক এই কাজটা ১৯৩১ সালে অস্ট্রেলিয়ায় আপনাদের পুরুষরা শুরু করেছিল। এরপর ১৯৬১ সালে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে এটা শুরু হয়েছিল, আজকে বাংলাদেশে এটি প্রতিষ্ঠিত। কত অঞ্চলে এটি (এপেক্স ক্লাব) ছড়িয়ে পড়েছে। এই যোগাযোগের ফলে আপনাদের মধ্যে বন্ধন গভীর হচ্ছে। সঙ্গে সঙ্গে বাঙালির বন্ধন বাংলাদেশের বন্ধন আরও গভীর হচ্ছে। যেহেতু আপনারা সারা বাংলাদেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছেন, শুধু সমাজ সেবা করলে হবে না, সার্বিকভাবে জাতীয় জীবন সম্পর্কেও আপনাকে চিন্তা করতে হবে। জাতীয় জীবন সম্পর্কে শুধু রাজনৈতিক দিক নিয়ে চিন্তা করবেন, সেটা সঠিক নয়।’
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘আমরা যেন সমাজে স্থিতিশীলতা শান্তি বজায় রাখতে পারি; যাতে আমাদের সমাজে যারা কাজ করে খায়, বিশেষ করে যারা দৈনিক ভিত্তিতে করে, ওই সকল নাগরিক ভাইবোনরা যেন শান্তিতে সুস্থ পরিবেশে কাজ করতে পারে এবং কাজের মাধ্যমে আয় করে তাদের পরিবারকে ভরণপোষণ করতে পারে, সেই ধরনের একটি পরিবেশ সৃষ্টির জন্য আমাদের সকলকে যার যার জায়গা থেকে সহায়তা করতে হবে।’
সেবা মাস উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক কবির আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভের মহাপরিচালক নিজামুল কবীর, এপেক্স বাংলাদেশের জাতীয় সভাপতি ইলিয়াস জসিম, জাতীয় সহসভাপতি অধ্যাপক মাহমুদুল হক সাবু ও সদ্য সাবেক সভাপতি অধ্যাপক নিজাম উদ্দীন পিন্টু।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সাবেক জাতীয় সভাপতি ও লাইফ গভর্নর অ্যাডভোকেট সৈয়দ নুরুর রহমান। আরও বক্তব্য দেন সাংবাদিক মুনিফ আম্মার ও ব্যবসায়ী আব্দুল হাই।
অনুষ্ঠান পরিচালনা ও সমন্বয় করেন জাতীয় সেবা পরিচালক সুব্রত সাহা ও মনিরুল ইসলাম।