বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:০৪ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
পটুয়াখালী পৌর কৃষকলীগ নেতার আপত্তিকর ভিডিও ভাইরাল! নাগেশ্বরীতে প্রাণী সম্পদ অফিসে টেকনিসিয়ান নিয়োগে অনিয়ম এডিসের লার্ভা পেলে জেল ও জরিমানা করা হবে: ডিএনসিসি মেয়র জলবায়ু অভিযোজনে সফলতার জন্য বিশ্বের ঐক্যবদ্ধ প্রয়াস জরুরি : পরিবেশমন্ত্রী কারিগরি বোর্ডের চেয়ারম্যানকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে ডিবি আওয়ামী লীগের শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ স্থগিত প্রধানমন্ত্রীর থাইল্যান্ড সফরকালে ৫টি দলিল স্বাক্ষর ও বহুমুখী সহযোগিতার সম্ভাবনা : পররাষ্ট্রমন্ত্রী জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় বাংলাদেশ জলবায়ু উন্নয়ন অংশীদারিত্ব গঠন: প্রধানমন্ত্রী যুদ্ধ ব্যয়ের অর্থ জলবায়ুর প্রভাব মোকাবেলায় ব্যবহার হলে বিশ্ব রক্ষা পেত: প্রধানমন্ত্রী কাতারের আমীরকে লাল গালিচা অভ্যর্থনা দেয়া হয় ঢাকা বিমানবন্দরে

খাদ্যশস্য উৎপাদনে বাংলাদেশ এখন বিশ্বে উদাহরণ : প্রধানমন্ত্রী

 অনলাইন ডেস্ক:
  • আপলোডের সময় : সোমবার, ৩ অক্টোবর, ২০২২
  • ৬০১৫ বার পঠিত
ফাইল ছবি

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, কৃষিজমি কমতে থাকা, জনসংখ্যা বৃদ্ধিসহ জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বন্যা, খরা, লবণাক্ততা ও বৈরি প্রকৃতিতেও খাদ্যশস্য উৎপাদনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ এখন বিশ্বের জন্য উদাহরণ।

সোমবার (৩ অক্টোবর) ‘বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার প্রদান’ উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে তিনি বলেন, ‘করোনা মহামারির মধ্যেও কৃষি নিরবচ্ছিন্নভাবে দেশের বিপুল জনগোষ্ঠীর খাদ্য যোগানের পাশাপাশি অর্থনীতির চাকাকে সচল রাখতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। কৃষিখাতে আমাদের সময়োপযোগী পদক্ষেপের কারণে খোরপোষের কৃষি আজ বাণিজ্যিক কৃষিতে রূপান্তরিত হয়েছে এবং খাদ্যশস্য উৎপাদনে বিশ্বে বাংলাদেশ শীর্ষ ১০-এ স্থান করে নিয়েছে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কৃষিক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য ‘বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার ১৪২৫ ও ১৪২৬’ প্রদান করা হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। এ উপলক্ষে আমি সংশ্লিষ্ট সবাইকে শুভেচ্ছা জানাই এবং পুরস্কার বিজয়ীদের জানাচ্ছি আন্তরিক অভিনন্দন।’

শেখ হাসিনা বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশ স্বাধীনের পর কৃষিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে যুদ্ধ-বিধ্বস্ত দেশ পুনর্গঠনের কাজ শুরু করেছিলেন। তিনি বিশ্বাস করতেন নদীমাতৃক এ দেশে কৃষি অর্থনীতি সামাজিক কর্মকাণ্ডে মূল চালিকাশক্তি।

তাই তিনি গরিব কৃষকদের ২৫ বিঘা পর্যন্ত জমির খাজনা মওকুফ করেন এবং পরিবার প্রতি সর্বোচ্চ ১শ বিঘা পর্যন্ত জমির সিলিং নির্ধারণ করেন। কৃষকদের মধ্যে কৃষিপণ্য বিতরণের পাশাপাশি তিনি কৃষি গবেষণায় গুরুত্ব দেন। এজন্য কৃষিবিষয়ক উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান পুনর্গঠনে উদ্যোগী হন এবং গঙ্গা কপোতাক্ষ সেচ প্রকল্প চালুর ব্যবস্থা করেন। তিনি সবুজ বিপ্লব তথা কৃষি বিপ্লবের ডাক দিয়েছিলেন। তাই কৃষি উন্নয়নে অনুপ্রেরণা জোগানোর লক্ষ্যে কৃষিক্ষেত্রে অবদানের জন্য জাতির পিতা ১৯৭৩ সালে ‘বঙ্গবন্ধু পুরস্কার তহবিল’ গঠন করেন এবং জাতীয় পর্যায়ে ‘বঙ্গবন্ধু পুরস্কার’ প্রবর্তন করেন।

তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে সব সময়ই কৃষিখাতকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে আসছে। আমরা দেশব্যাপী ১শটি অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তুলছি। এতে কৃষিনির্ভর শিল্পের কাঁচামাল সরবরাহে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনসহ ব্যাপক কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। কৃষি পণ্যের রপ্তানি বৃদ্ধিতে আমরা উত্তম কৃষি চর্চা নীতিমালা ২০২০ অনুসরণে ফসল উৎপাদন, আধুনিক প্যাকিং হাউস নির্মাণ, অ্যাক্রিডিটেড ল্যাব স্থাপনসহ বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছি। আমাদের সরকার ‘বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার ট্রাস্ট আইন, ২০১৬’ প্রবর্তনের মাধ্যমে ‘বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার’-কে আইনগত ভিত্তি দিয়েছে। কৃষিক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জনকারী ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠান তাদের কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ রাষ্ট্রীয় পর্যায়ের এ পুরস্কার পাচ্ছেন, যা অন্যদেরও অনুপ্রাণিত করছে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য কৃষিখাতে বর্তমান প্রয়াসকে আরো বেগবান করে ২০৩০ সালের এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করে ২০৪১ সালের মধ্যে জাতির পিতার ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত, উন্নত-সমৃদ্ধ স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ে তোলা। সবার সহযোগিতায় এই লক্ষ্য অর্জনে আমরা সফল হবো।’

সূত্র : বাসস

দয়া করে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..