মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, স্বাধীনতাবিরোধীরা পরাজয়ের গ্লানি এখনো ভুলতে পারেনি। তাই পাকিস্তানের প্রশংসা করতে তারা কার্পণ্য করে না। যারা বলে পাকিস্তান আমল ভাল ছিল, আগামী নির্বাচনে ভোটের ব্যালটের মাধ্যমে তাদের রাজনৈতিক পরাজয় নিশ্চিত করতে হবে।
আজ চট্টগ্রামের রাউজানে স্থানীয় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি এখনও দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। বীর মুক্তিযোদ্ধারা ঐক্যবদ্ধ হয়ে তাদের এই ষড়যন্ত্র রুখে দেবে।
মন্ত্রী বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণে আওয়ামী লীগ সরকারই সবসময় কাজ করেছে এবং করছে। অন্যর ক্ষমতায় এসে শুধু লুটপাট করেছে।
তিনি বলেন, ‘বীর মুক্তিযোদ্ধারা এখন নূন্যতম ২০ হাজার টাকা করে ভাতা পাচ্ছেন। এ ছাড়া অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ত্রিশ হাজার বীর নিবাস নির্মাণ করে দেয়া হচ্ছে।’
বীর মুক্তিযোদ্ধারা বিনামূল্যে হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা পাচ্ছেন উল্লেখ করে আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, জেলা, উপজেলাসহ দেশের বিশেষায়িত হাসপাতালসমূহে চিকিৎসা, ওষুধ, টেস্ট যা প্রয়োজন তার সবই বিনামূল্যে প্রদান করা হচ্ছে।
মন্ত্রী বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের সময় যেসব স্থানে যুদ্ধ হয়েছিল, সেসব স্থান সংরক্ষণ করা হচ্ছে। বধ্যভূমিগুলোও সংরক্ষণ করা হচ্ছে। এ ছাড়া যদি কোন মুক্তিযোদ্ধা মারা যান তাদের একই রকম ডিজাইনের কবর দেয়া হবে, যেন ৫০ বছর পরেও একটি কবর দেখে বোঝা যায়, এটি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার কবর।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের চরম দুর্ভাগ্য ১৯৭৫-এর ১৫ আগস্ট স্বাধীনতাবিরোধী পাকিস্তানপ্রেমী মৌলবাদী সাম্প্রদায়িক অপশক্তি সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে অগ্রসরমান এক জাতিকে পশ্চাৎপদতার অন্ধকারে নিক্ষেপ করেছে। বঙ্গবন্ধু জীবিত থাকলে বাংলাদেশ অনেক আগেই উন্নত দেশে পরিণত হতো।’
রাউজান উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবদুস সামাদ শিকদারের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও চট্টগ্রাম-৬ আসনের সংসদ সদস্য এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী, রাউজান উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এ কে এম এহেছানুল হায়দার চৌধুরী, রাউজান আওয়ামী লীগ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী আবদুল ওহাব, রাউজান পৌরসভা মেয়র মো. জমির উদ্দিন পারভেজসহ স্থানীয় বীর মুক্তিযোদ্ধারা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে মন্ত্রী রাউজানে মাস্টারদা সূর্যসেন স্মৃতি পাঠাগার পরিদর্শন করেন এবং উপজেলা পরিষদ ডাকবাংলোতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে বৃক্ষ রোপণ করেন।