ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রতিবছরের মতো এবারও ৭ অক্টোবর থেকে ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত ২২ দিনের জন্য ইলিশ মাছ আহরণ, পরিবহন, বাজারজাতকরণ, মজুদ এবং ক্রয়-বিক্রয় ও বিনিময় করনের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সরকার।
ইলিশের প্রধান এই প্রজনন মৌসুমে জেলেরা ইলিশ শিকারসহ নিষেধাজ্ঞা অমান্য করলে তাদেরকে কারাদ- বা অর্থদ- অথবা উভয় দন্ডে দন্ডিত করা হবে। যেসব জেলেরা এসময় ইলিশ শিকার থেকে বিরত থাকবে তাদের মাঝে প্রণোদনা হিসেবে বিশেষ ভিজিএফ চাল বিতরণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। মা ইলিশ যাতে অবাধে ডিম ছাড়তে পারে সে বিষয়টি নিশ্চিত করার জন্য ভোলার জেলা ও উপজেলা প্রশাসন এবং মৎস্য বিভাগ বিশেষ অভিযান পরিচালনা করবে।
ভোলার জেলেরা জানিয়েছে, তারা সরকারের এই নিষেধাজ্ঞা মেনে ইলিশ শিকার থেকে বিরত থাকবে। ভোলার ৭ উপজেলার ১ লাখ ৫৮ হাজার ৩ শত ৪৪ জন নিবন্ধিত জেলে রয়েছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রকৃত জেলেদের মাঝে সুষ্ঠুভাবে চাল বিতরণ এবং এনজিওর কিস্তি বন্ধের ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি করেছেন ভোলার জেলেরা। ভোলার তুলাতুলি মৎস্য ঘাটের জেলে মোঃ মমিন জানান, সরকার যে সমস্ত অভিযান দেয় প্রত্যেকবারই সরকারের অভিযান তারা পালন করেন। তবে সরকারের পক্ষ থেকে যে সমস্ত সাহায্য সহযোগিতা করা হয়, কোন অভিযানের সময় তারা ঠিকমতো পায় না। এবছর যাতে সঠিক সময়ে সঠিকভাবে সরকারের প্রণোদনা পায় সেই দাবিও করেন। জেলে মনজুর রহমান বলেন, এনজিওর কিস্তি বন্ধ না করলে অভিযান পালন করা অসম্ভব হয়ে পড়ে। তাই অভিযানের এই সময়ে সরকারের পক্ষ থেকে ঋণের কিস্তি বন্ধ রাখা জরুরি।
ভোলার জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোল্লা এমদাদুল্ল্যাহ জানিয়েছেন, ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়ন করা গেলে ইলিশ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে। তিনি বলেন, জেলেদেরকে নিষেধাজ্ঞার সময় ইলিশ শিকার থেকে বিরত রাখতে ভোলার ১ লাখ ৩২ হাজার জেলেকে প্রণোদনা হিসাবে জনপ্রতি ২৫ কেজি করে চাল দেয়া হবে। এরপরও যে সমস্ত জেলে আইন অমান্য করে মাছ শিকার করবে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে তাদের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে মৎস্য আইনে ব্যবস্থা নেয়া হবে।