রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০:০২ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
মাছের প্রজননে সময় না দিয়ে মানুষ দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিচ্ছে : মৎস্য উপদেষ্টা কোনো নিরীহ মানুষ যেন হয়রানির শিকার না হয় : আইজিপি নির্বাচন যত দেরি হবে ততই ষড়যন্ত্র হবে : তারেক রহমান কায়কোবাদের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে মুরাদনগরে বিএনপির প্রস্তুতি সভা কিশোরগঞ্জে ’দুর্বার প্রজন্মের’ শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠিত তারেক রহমান ও কায়কোবাদের মামলা প্রত্যাহার না করলে আন্দোলনের হুমকি হিন্দু সম্প্রদায়ের রাতের অন্ধকারে ঘরে ঢুকে বৃদ্ধাকে শ্বাসরোধে হত্যা তাড়াইলে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের দাওয়াতি মজলিস ও মতবিনিময় সভা মুরাদনগরে মাটিখেকোদের বিরুদ্ধে রাতের আঁধারে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান বরিশাইল্লা বউ : লুৎফুন্নেসা রহমান

কোনো শিশু যেন শেখ রাসেলের মতো নৃশংসতার শিকার না হয়: রাষ্ট্রপতি

নিজস্ব প্রতিবেদক:
  • আপলোডের সময় : সোমবার, ১৭ অক্টোবর, ২০২২
  • ৬০৭৩ বার পঠিত
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ (ফাইল ছবি)

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, কোনো শিশুই যাতে শেখ রাসেলের মতো নৃশংসতার শিকার না হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে। তিনি শেখ রাসেলের ‘জন্মদিন’ উপলক্ষে আজ এক বাণীতে এ কথা বলেন।

মঙ্গলবার (১৮ অক্টোবর) ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র শহীদ শেখ রাসেলের ‘শুভ জন্মদিন’ ও ‘শেখ রাসেল দিবস’ উদযাপিত হবে।

শেখ রাসেলের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, বঙ্গবন্ধু পরিবারে আনন্দের বার্তা নিয়ে ১৯৬৪ সালের ১৮ অক্টোবর জন্মগ্রহণ করেন শেখ রাসেল। পাঁচ ভাই-বোনের মধ্যে রাসেল ছিলেন সবার ছোটো এবং অনেক আদরের। রাসেল নামটি বঙ্গবন্ধু নিজেই রেখেছিলেন তার প্রিয় ব্যক্তিত্ব বিখ্যাত দার্শনিক বার্ট্রান্ড রাসেলের নামে।

আবদুল হামিদ বলেন, রাজনৈতিক কারণে বঙ্গবন্ধুকে জীবনের দীর্ঘ সময় কাটাতে হয়েছে কারাগারে। এজন্য শিশু রাসেল পিতার সান্নিধ্য ও আদর-যত্ন থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। বঙ্গবন্ধু পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের মতো রাসেলও ছিলেন সহজ-সরল ও অত্যন্ত বিনয়ী। অন্য শিশুদের সাথে নিজের জামা-কাপড় ও খেলনা ভাগাভাগি করা ও মানুষের উপকার করার চেষ্টা ছোটবেলা থেকেই পরিলক্ষিত হয়েছে শেখ রাসেলের মাঝে। তিনি (রাসেল) ছিলেন আদর্শ পিতার যোগ্য সন্তান।

রাষ্ট্রপতি বলেন, শেখ রাসেল বেঁচে থাকলে হয়তো আজ জাতির নেতৃত্ব দিতেন। দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে কাজ করতেন। কিন্তু বাঙালি জাতির দুর্ভাগ্য ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালরাতে স্বাধীনতাবিরোধী ঘাতকচক্রের হাতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সপরিবারে নির্মমভাবে শহীদ হন। ঘাতকরা দশ বছরের ছোট্ট রাসেলকেও সেদিন রেহাই দেয়নি। ছোট্ট রাসেল সেদিন ঘাতকদের মিনতি করে বলেছিলেন, ‘আমি মায়ের কাছে যাব’ কিন্তু সেই কুলাঙ্গার ঘাতকদল তাকে নির্মমভাবে হত্যা করে। মৃত্যুকালে রাসেল ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র ছিল। ঘাতকরা বঙ্গবন্ধুর রক্তের উত্তরাধিকারদের নিশ্চিহ্ন করে দিতে চেয়েছিল। কিন্তু তারা সফল হয়নি। রাসেল আজ বিশ্বে অধিকার বঞ্চিত শিশুদের প্রতীক ও মানবিকসত্তা হিসেবে বেঁচে আছে সবার মাঝে।

বঙ্গবন্ধু শিশুদের খুবই ভালোবাসতেন উল্লেখ করে মো. আবদুল হামিদ বলেন, তিনি (বঙ্গবন্ধু) জানতেন সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলা গড়তে হলে নতুন প্রজন্মকে সোনার মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। শৈশব থেকেই তাদের মধ্যে চারিত্রিক গুণাবলির উন্মেষ ঘটাতে হবে। জ্ঞান-গরিমা, শিক্ষা-দীক্ষা, সততা, দেশপ্রেম ও নিষ্ঠাবোধ জাগ্রত করার মাধ্যমে তাদের প্রকৃত মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। শেখ রাসেল দিবসে রাষ্ট্রপতির প্রত্যাশা, ‘পৃথিবীর সব শিশু নিরাপদ ও আনন্দময় পরিবেশে ভালোবাসার মাঝে বেড়ে উঠুক’।

তিনি শহীদ শেখ রাসেলের জন্মবার্ষিকীতে তার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন।

দয়া করে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..