নিজস্ব প্রতিবেদক: , আপলোডের সময় : বুধবার, ১৯ অক্টোবর, ২০২২ , আজকের সময় : শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪

জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় কাজ করতে চায় তরুণরা

জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় অনেক চ্যালেঞ্জের মধ্যেও দেশের তরুণরা কাজ করছে। নীতি নির্ধারকদের সঙ্গে আলোচনা ও দায়িত্বশীলদের জবাবদিহিতার মধ্যে আনার মাধ্যমে তরুণরা কাজ অব্যাহত রেখেছে। বিশ্বজুড়ে যুব সংগঠনগুলো জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় আরও দৃশ্যমান হয়ে উঠছে।

মঙ্গলবার (১৮ অক্টোবর) সেভ দ্য চিলড্রেন আয়োজিত রাজধানীর লেকশোর হোটেলে এক কর্মশালায় জলবায়ু পরিবর্তন রোধে কর্মরত তরুণ নেতারা পৃথিবীকে বাঁচানোর স্বার্থে তাদের সঙ্গে সংযুক্ত হওয়ার গঠনমূলক ও কার্যকর উপায় সম্পর্কে কথা বলেন।

তরুণরা জানায়, গবেষণার মাধ্যমে অনেক বৈজ্ঞানিক-উদ্ভাবনী উপায় খুঁজে বের করা যায়। তারা আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্মে বৈধ তথ্য ও চাহিদা নিয়ে বিশ্ব নেতাদের সঙ্গে কথাও বলতে পারে। আন্দোলন, র‌্যালিই একমাত্র কর্মকাণ্ড বা স্টান্ট নয় যেগুলোতে যুবকদের আগ্রহ থাকে। তাদের ভবিষ্যৎ রক্ষার অধিকার রয়েছে।

তারা আওয়াজ তুলতে, উদ্যোগ নিতে, গবেষণা কার্যক্রম ও প্রকৃতির প্রতি আচরণ সম্পর্কে মানুষকে সতর্ক করতে চায়। নীতি-নির্ধারকদের জবাবদিহিতার মধ্যে আনতে চায়। কিছু স্বতঃপ্রণোদিত যুব গোষ্ঠী বাস্তবে জলবায়ু পরিবর্তন প্রতিরোধে গঠনমূলক কাজ করছে। কিন্তু তহবিলের অভাব, পদ্ধতিগত বাধা বা গুরুত্বের অভাবের কারণে এসব উদ্যোগ কিছু পর্যায়ে গিয়ে বন্ধ হয়ে যায়।

তরুণদের প্রস্তাবনা

>> যুব নেতৃত্বাধীন সংগঠন ও নেটওয়ার্কগুলোকে অর্থায়ন করতে স্বচ্ছ পদ্ধতিতে একটি সরকার অনুমোদিত জাতীয় যুব জলবায়ু তহবিল প্রতিষ্ঠা করা।

>> উন্নয়ন সহযোগী, দূতাবাস ও প্রাইভেট সেক্টর এই তহবিলে অর্থায়ন করবে।

>> এ তহবিল যুব নেতৃত্বাধীন জলবায়ু কার্যক্রম, সক্রিয়তা ও সমর্থনের পাশাপাশি বিভিন্ন গঠনমূলক এবং যৌক্তিক কর্মকাণ্ডে অর্থায়ন করবে।

>> এ তহবিল অ্যাডভোকেসি ভ্রমণ অনুদানসহ জাতিসংঘের জলবায়ু সংশ্লিষ্ট কনফারেন্সগুলোতে যুব প্রতিনিধিদের জন্য অংশগ্রহণের সুযোগ তৈরি করবে।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত বাংলাদেশে নিযুক্ত সুইডেনের রাষ্ট্রদূত আলেকজান্দ্রা বার্গ ফন লিন্ডে বলেন, তরুণরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নেতৃত্ব দিচ্ছেন এবং জলবায়ুর জন্য স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করছেন যা অসাধারণ। আমাদের অবশ্যই প্ল্যাটফর্ম নিশ্চিত করতে হবে, যাতে তাদের কণ্ঠস্বর শোনা যায়। তরুণদের সিদ্ধান্তকে শুধুমাত্র ডায়েরিতে নোট নিয়ে সমর্থন না জানিয়ে কার্যকর করতে হবে। আমি তাদের উদ্ভাবনী চিন্তাভাবনা ও কণ্ঠস্বরকে উৎসাহ দিতে চাই।

ইয়ুথ নেট ফর ক্লাইমেট জাস্টিসের কো-অরডিনেটর সোহানুর রহমান বলেন, আমরা শুধু মুখে বলি না, জলবায়ু সংক্রান্ত কর্মকাণ্ডে আমরা অনেক অবদান রাখছি। নিজেদের ভবিষ্যৎ রক্ষায় তরুণ ও শিশুদের আওয়াজ তুলতে হবে এবং সেই অনুযায়ী কাজ করতে হবে। আমরা যখন ব্যবস্থা নিই, সরকার আমাদের কথা শোনে ও আমরা সমর্থন পাই।

অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন ব্রাইটার্স সোসাইটি বাংলাদেশের চিফ অব অপারেশনস ফারিয়া এস অমি ও ফ্রাইডেস ফর ফিউচারের ইয়ুথ অ্যাডভোকেট ফারজানা ফারুক ঝুমু।