বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপটি আজ রাতে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ে রূপ নেবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। আজ রোববার অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. মনোয়ার হোসেন এ তথ্য জানিয়েছেন। একইসঙ্গে এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে তিন থেকে পাঁচ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস সৃষ্টি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
মনোয়ার বলেন, ‘বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করা মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে শিগগির নিরাপদে সরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘গভীর নিম্নচাপটির বর্ধিতাংশ, অমাবস্যা তিথি ও বায়ুচাপ পার্থক্যে আধিক্যের প্রভাবে উপকূলীয় জেলায় বায়ুতাড়িত জলোচ্ছ্বাস হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার এবং এ জেলাগুলোর অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোর নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে তিন থেকে পাঁচ ফুট উচ্চতার বায়ুতাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।’
এই আবহাওয়াবিদ বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড়ের আগমনী বার্তায় চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরগুলোকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।’
মো.মনোয়ার হোসেন বলেন, ‘গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেওয়ার পর সমুদ্র বন্দরগুলোতে সতর্ক সংকেত বাড়িয়ে দেওয়া হবে। সন্ধ্যা পর্যন্ত আপাতত তিন নম্বর সতর্ক সংকেত অব্যাহত থাকবে।