ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার হিসেবে পুলিশ স্টাফ কলেজের রেক্টর অতিরিক্ত আইজিপি খন্দকার গোলাম ফারুককে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আজ রোববার এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
আগামীত ২৯ অক্টোবর বর্তমান ডিএমপি কমিশনার শফিকুল ইসলামের চাকরির মেয়াদ শেষ হবে। এ পদে শফিকুল ইসলামের স্থলাভিষিক্ত হবেন খন্দকার গোলাম ফারুক। ওইদিন থেকেই নিয়োগের এ আদেশ কার্যকর হবে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।
অতিরিক্ত আইজিপি খন্দকার গোলাম ফারুক পুলিশের ১২তম বিসিএস কর্মকর্তা। তিনি এর আগে সারদা পুলিশ একাডেমির প্রিন্সিপাল, চট্টগ্রাম রেঞ্জ ডিআইজি, রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি, ময়মনসিংহ, কিশোরগঞ্জ, ঝালকাঠি ও ঠাকুরগাঁও জেলার পুলিশ সুপার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তার বাড়ি টাঙ্গাইল জেলায়।
খন্দকার গোলাম ফারুক ১৯৬৪-এর পহেলা অক্টোবর টাঙ্গাইল জেলার ভূঞাপুর থানার ঘাটানদি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবা মৃত খন্দকার হায়দার আলী ও মা মোসাম্মৎ ফাতেমা বেগম।
খন্দকার গোলাম ফারুক ১৯৯১-এর ২০ জানুয়ারি ১২তম বিসিএসের মাধ্যমে বাংলাদেশ পুলিশে কর্মজীবন শুরু করেন। সহকারী পুলিশ সুপার হিসেবে প্রথমে বগুড়ার ৪-এপিবিএন পরে সিএমপি চট্টগ্রাম এবং খাগড়াছড়ি জেলায় দায়িত্ব পালন করেন। এএসপি হিসেবে শেষ কর্মস্থল ছিল ডিএমপি।
এরপর খন্দকার গোলাম ফারুক খুলনা ও সাতক্ষীরা জেলায় অতিরিক্ত এসপি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পুলিশ সুপার হিসেবে পদোন্নতি পাওয়ার পর তাঁর প্রথম পোস্টিং হয় পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি কনফিডেন্সিয়াল শাখায়। এরপর তিনি ঠাকুরগাঁও, কিশোরগঞ্জ, ঝালকাঠি, জামালপুর এবং ময়মনসিংহ জেলায় পুলিশ সুপার (এসপি) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
এ ছাড়া অতিরিক্ত ডিআইজি হিসেবে তিনি ডিএমপি ও ঢাকা রেঞ্জ পুলিশে কাজ করেছেন। এরপর ডিএমপিতে অতিরিক্ত কমিশনার (ট্রাফিক) হিসেবে কাজ করেন। তিনি রংপুর রেঞ্জ পুলিশ ও চট্টগ্রাম রেঞ্জ পুলিশের ডিআইজি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। পরবর্তী সময়ে তিনি রাজশাহীর বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমির অধ্যক্ষ হিসেবে নিযুক্ত হন। সর্বশেষ পুলিশ স্টাফ কলেজের রেক্টর হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
জনগণের প্রতি অসাধারণ এবং অনুকরণীয় সেবার স্বীকৃতিস্বরূপ খন্দকার গোলাম ফারুক ২০০৬ ও ২০১৮-এ দুইবার বাংলাদেশ পুলিশ মেডেল (বিপিএম-সেবা) অর্জন করেন। ২০১৫ সালে রাষ্ট্রপতি পুলিশ পদক (পিপিম-সেবা)লাভ করেন। তিনি ২০১৯ সালে আইজিপি গুড সার্ভিস ব্যাজও প্রাপ্ত হন।