বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড়টি সোমবার বা মঙ্গলবার ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশ উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে। এই ঘূর্ণিঝড়ের নাম রাখা হয়েছে সিত্রাং। এটি উপকূলের ছয় জেলায় আঘাত হানতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। রাজ্য আবহাওয়া দপ্তর থেকে এ পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড়ের সতর্কবার্তা পাওয়ার পর রাজ্য সরকার সিত্রাং মোকাবিলায় সার্বিক ব্যবস্থা নিয়েছে। সাগর থেকে জেলেদের অবিলম্বে উপকূলে ফিরে আসার নির্দেশ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। সমুদ্রতীরবর্তী এলাকাগুলোয় মাইকিং করে সতর্ক করা হয়েছে।
একই সঙ্গে অবিলম্বে এসব এলাকার মানুষকে উঁচু এবং পাকা বাড়িতে আশ্রয় নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্রে অবিলম্বে আশ্রয় নেওয়ার প্রস্তুতিও চলছে।
এনডিটিভির খবরে বলা হয়, আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, আজ সোমবার ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতেরসম্ভাবনা রয়েছে, সঙ্গে বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার হতে পারে।
আবহাওয়া অফিস বলছে, ত্রিপুরায় আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সর্বাধিক ২০০ মিলিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
ত্রিপুরা, আসাম, মিজোরাম, মণিপুর এবং নাগাল্যান্ডে ‘রেড অ্যালার্ট’ জারি করা হয়েছে। এ ছাড়া, অরুণাচল প্রদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের জন্য ‘অরেঞ্জ অ্যালার্ট’ জারি করা হয়েছে।
ভারতের জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী এনডিআরএফকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সমুদ্রতীরবর্তী এলাকায় মাইকিং করে এনডিআরএফ বলেছে, কোনো পর্যটক যেন এ দুই দিন সমুদ্রে না নামেন। বিশেষ করে সুন্দরবন এলাকার মানুষজনকে সমুদ্র বা সমুদ্র উপকূলবর্তী নদীতে মাছ ধরতে না যাওয়ার নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে।
আবহাওয়া দপ্তরের বার্তায় বলা হয়েছে, এরই মধ্যে আন্দামান সাগরে নিম্নচাপ তৈরি হয়েছে। সোমবার সেটা ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়ে উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে। এতে কালীপূজা ও দীপাবলির আনন্দ এবার ম্লান হয়ে যেতে পারে। তাই আগামী দুই দিন এই সিত্রাং ঘূর্ণিঝড়ের বেগ ঘণ্টায় ২৫ থেকে ৯০ কিলোমিটার বেগে বয়ে যেতে পারে। এ সময় সমুদ্র উত্তাল হতে পারে। ঝড়বৃষ্টি হতে পারে। তাই সুন্দরবন এলাকার নদীগুলোয় চলাচলকারী ফেরি ইতিমধ্যে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।