বুধবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৪, ০৯:০৪ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
মুরাদনগরে শিক্ষার্থীদের মামলা প্রত্যাহার ও শিক্ষকের পদত্যাগ দাবিতে মানববন্ধন পরকীয়া সন্দেহ ও অর্থ লোভের কারণে মাহমুদার সংসারে অশান্তি বামনায় উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাকে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ একটি ভিন্ন গণতান্ত্রিক সংসদের রূপকল্প : মজিবুর রহমান জামায়াতে ইসলামী পলাশবাড়ী উপজেলা শাখা’র উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল-সমাবেশ অনুষ্ঠিত নওগাঁয় আলু ভোক্তাদের কাছে পৌঁছতে কেজি’তে ব্যবধান ১০ থেকে ১৫ টাকা দক্ষিণ কোরিয়াকে বস্ত্র-পাট ও জাহাজ শিল্পে বিনিয়োগের আহ্বান বস্ত্র উপদেষ্টার শিগগিরই অবশিষ্ট ৩২ উপজেলায় ফায়ার সার্ভিস স্টেশন স্থাপন করা হবে বাংলাদেশে আরো বেশি সৌদি বিনিয়োগের আহ্বান ড. ইউনূসের বিমসটেককে যুব, পরিবেশ, জলবায়ু সংকটের দিকে বেশি নজর দিতে হবে: অধ্যাপক ইউনূস

রাজধানী উন্নয়নে ১১৮ প্রকল্প বাস্তবায়নাধীন : পরিকল্পনামন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক:
  • আপলোডের সময় : সোমবার, ৩১ অক্টোবর, ২০২২
  • ৬২১২ বার পঠিত

ঢাকা শহরের উন্নয়নে দেড় লাখ কোটি টাকার বেশি প্রকল্প চলমান রয়েছে বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।

রোববার (৩০ অক্টোবর) জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তরে সরকার দলীয় সংসদ সদস‌্য এ কে এম রহমতুল্লাহর প্রশ্নের জবাবে পরিকল্পনা এ তথ‌্য জানান। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সংসদের বৈঠকে প্রশ্নোত্তর পর্ব টেবিলে উত্থাপিত হয়।

এম এ মান্নান বলেন, চলতি ২০২২-২৩ অর্থ বছরে এডিপিতে ১১৮টি প্রকল্প বাস্তবায়নাধীন রয়েছে। এর অনুকূলে মোট বরাদ্দ ১ লাখ ৬৫ হাজার ৯৪২ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।

তিনি বলেন, এসব উন্নয়ন প্রকল্পে চলতি অর্থ বছরে এডিপি বরাদ্দ ২০ হাজার ৫৪৯ কোটি ৬৬ লাখ টাকা। এর মধ্যে ২০১৮ সালে শুরু হওয়া ইভিএম প্রকল্পও রয়েছে। এই প্রকল্পে চলতি অর্থ বছরে ২৮১ কোটি ৯৯ লাখ টাকা বরাদ্ধ রয়েছে।

সংসদের বৈঠকে প্রশ্নোত্তর পর্ব টেবিলে বেনজীর আহমদের এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, বিগত ১৩ বছরে বাংলাদেশে অভাবনীয় সাফল্য এসেছে। একে টেকসই করতে হলে রাষ্ট্রীয় ও আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা অত্যন্ত প্রয়োজন। এ কারণে রাষ্ট্রীয় ও আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার ওপর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জোর দিচ্ছে। যাতে আর্থ-সামাজিক, ধর্মীয় উন্মাদনা বা সন্ত্রাসী তৎপরতার কারণে রাষ্ট্রীয় ও আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা বিঘ্নিত না হয়।

মমতাজ বেগমের প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আরাকান আর্মির সঙ্গে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সংঘাত চলছে। এর প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ ভূ-খণ্ডের অভ্যন্তরে মর্টারের গোলা বিস্ফোরণ, আকাশসীমা লঙ্ঘনসহ বিভিন্ন অনভিপ্রেত ঘটনা ঘটেছে। তবে, মিয়ানমারের উসকানিমূলক কর্মকাণ্ডে বাংলাদেশ এখনো পর্যন্ত ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছে।

প্রতিবেশী দেশ হিসেবে বাংলাদেশ মিয়ানমারের সঙ্গে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানে আগ্রহী। এ কারণে মিয়ানমারের আচরণের প্রেক্ষিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কূটনৈতিক উদ্যোগের মাধ্যমে উদ্ভূত সমস্যা সমাধানে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

কূটনৈতিক উদ্যোগের মাধ্যমে ঢাকায় নিযুক্ত মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে চারবার তলব করে কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছি। ঢাকায় নিযুক্ত আসিয়ান রাষ্ট্রদূতদের জন্য ব্রিফিংয়ের আয়োজন করেছি। অন্যান্য দেশের রাষ্ট্রদূতদের জন্য কূটনৈতিক ব্রিফিংয়ের আয়োজন করা হয়েছে। চীনের রাষ্ট্রদূতকে আলাদা করে ডেকে ব্রিফিং করা হয়েছে এবং বাংলাদেশ দূতাবাস, ইয়াঙ্গুন থেকে সীমান্তে বিরাজমান পরিস্থিতি বিষয়ে বাংলাদেশের গভীর উদ্বেগ মিয়ানমার সরকারকে অবহিত করা হয়েছে।

বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তবর্তী এলাকায় নিরাপত্তা বিষয়ক তিনি আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা করে সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট সব মন্ত্রণালয় ও দপ্তরে তাগিদ দেওয়া হয়েছে। জাতিসংঘের ৭৭তম অধিবেশনের সাইডলাইনে বেশ কয়েকটি অনুষ্ঠানে মিয়ানমার-বাংলাদেশ সীমান্ত পরিস্থিতি নিয় উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে।

দয়া করে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..