নিজস্ব প্রতিবেদক: , আপলোডের সময় : সোমবার, ৩১ অক্টোবর, ২০২২ , আজকের সময় : রবিবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২৪

সাইবার অপরাধ প্রতিরোধে ছাত্রীদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে পুলিশ

সাইবার অপরাধের নানা বিষয়ে ছাত্রীদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগ।

প্রশিক্ষণে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিরাপদে বিচরণের কৌশলসমূহ, সংশ্লিষ্ট আইনের ব্যাখ্যা, আক্রান্ত হলে সেখান থেকে পরিত্রাণের উপায়, অভিযোগ জানানোর সুনির্দিষ্ট পদ্ধতিসহ সাইবার অপরাধের নানা বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।

সরকারের তথ্য প্রযুক্তি বিভাগ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আইটি সোসাইটির (ডিইউআইটিএস) যৌথ উদ্যোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫টি ছাত্রী হল, ইডেন এবং গভর্নমেন্ট কলেজ অব অ্যাপ্লাইড হিউম্যান সায়েন্সের প্রায় দুই হাজার শিক্ষার্থীকে হাতে-কলমে এ প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।

‘সাইবার সিকিউরিটি এওয়ারনেস ফর উইমেন ইমপাওয়ারমেন্ট’ শীর্ষক এ আয়োজনের সহযোগী ডাক বিভাগের ডিজিটাল লেনদেন ‘নগদ’, ডেল টেকনোলজিস এবং স্টার কম্পিউটার সিস্টেম লিমিটেড।

রোববার (৩০ অক্টোবর) সকালে ইডেন কলেজ মিলনায়তনে এ কার্যক্রম শুরু হয়। চলবে ৪ নভেম্বর পর্যন্ত। ৮ নভেম্বর সমাপনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। আরও উপস্থিত থাকবেন ঢাবি উপাচার্য মোহাম্মদ আখতারুজ্জামান, ডিএমপির গোয়েন্দা পুলিশের প্রধান হারুন অর রশীদ, চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের নির্বাহী পরিচালক তালাত মামুন।

গোয়েন্দা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, এ কার্যক্রমের আওতায় রাজধানীর দুটি কলেজ ছাড়াও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোকেয়া হল, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব হল, বাংলাদেশ কুয়েত মৈত্রী হল এবং শামসুন্নাহার হলের ছাত্রীরা এ প্রশিক্ষণ পাবেন।

কর্মশালাগুলোয় সাইবার অপরাধের নানা ধরন, পরিত্রাণের উপায়, সরকারের এ সংক্রান্ত পদক্ষেণ তুলে ধরে প্রশিক্ষণ প্রদান করবেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক, তথ্য-প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং অভিজ্ঞ সাংবাদিকরা। কর্মশালা শেষে রয়েছে তথ্য-প্রযুক্তি বিষয়ক কুইজ প্রতিযোগিতা। বিজয়ীরা পুরস্কৃত হবেন সমাপনী অনুষ্ঠানে।

আয়োজন সম্পর্কে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আইটি সোসাইটির সভাপতি নাজমুস সাকিব বলেন, সাম্প্রতিককালে হয়রানি, গুজবসহ নানা ধরনের সাইবার অপরাধ বৃদ্ধি পাচ্ছে। এসব অপরাধ ঘটে যাওয়ার পর ব্যবস্থা নেওয়ার চেয়ে আগেই প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিলে ক্ষতির পরিমাণ কমে আসে। ফলে বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের সচেতন করার এই কার্যক্রম নিয়মিত পালন করি আমরা। কেননা সমাজে এসব শিক্ষার্থীদের যেমন গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে, পাশাপাশি তাদের দায়িত্বও বেশি।