বেতাগী উপজেলা ১নং বিবিচিনি ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড মেম্বার ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ মজিবর রহমান খন্দকার এর বিরুদ্ধে গলা টিপে ধরে মারপিট ও মেরে ফেলার হুমকির অভিযোগ এনে একই এলাকায় এক ভুক্তভোগী মোহাম্মদ ফয়সাল (২৫) নামে এক যুবক তিনি তার লিখিত অভিযোগ পত্র ৩১ অক্টোবর সকাল ১০ ঘটিকার সময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ সুহৃদ সালেহীন কাছে ও বেতাগী প্রেসক্লাবে এ অভিযোগ দেন।
তিনি তার অভিযোগ পত্রে লেখেন আমি আমার পৈতৃক জমিতে দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করে আসছিলাম।
কিন্তু অসহায় ভুমিহীনদের জন্য বরাদ্দকৃত আশ্রয়ণ প্রকল্প -২ এর ঘর বরাদ্দের কাজ চলছিলো আমার পৈতৃক বসতবাড়ি উঠান থেকে নির্মাণ সামগ্রী মালামাল ভাড়ী যানবাহন দিয়ে নেওয়াতে আমার বাড়ির উঠানের বেশ ক্ষয়ক্ষতি হতে শুরু করে দেখে আমি এবিষয় ইউপি সদস্য মোঃ মজিবর খন্দকার এর কাছে গিয়ে বললে তিনি উক্ত জমি বালু দিয়ে ভরাটের জন্য প্রতিশ্রুতি দেন।
কিন্তু প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার পারে ইউপি সদস্য মোঃ মজিবর রহমান খন্দকারের কাছে ২৮ অক্টোবর ২০২২ তারিখ বিকাল ৪ ঘটিকার সময় আমি ও আমার মা গিয়ে বলি যে আমাদের জমি ভরাট করে দেওয়ার কথা বলেছিলেন কিন্তু প্রকল্পের কাজ তো শেষ সেখানে বালুও ফালানোও শেষ তাহলে আমাদের যে যায়গায় ক্ষতি হয়েছে সেখানে তো বালু দিয়ে ভরাট করে দেওয়ার কথা তা তো দিলেন না।
ইউপি সদস্য তখন বলেন এটা ইউএনও এর কাজ তার কাছে যা আমি কিছু জানি না, আর এবিষয় নিয়ে কোন কথা বললে তোর খবর আছে, তখন আমি বলি আপনি তো বলেছিলেন যে বালু দিয়ে ভরাট করে দিবেন এই কথা বলাতেই ইউপি সদস্য মোঃ মজিবর খন্দকার আমার উপরে ক্ষিপ্ত হয়ে আমার গলা টিপে ধরে পাসে থাকা একটি গাবের লাঠি দিয়ে ৩ -৪ বারি দেয় এবং বলেন এবিষয় যদি কোন বারাবাড়ি করি তাহলে তোকে মেরে ফেলবো বলেও হুমকি দেন ও আমার মাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। তাই আমাদের পরিবারের নিরাপত্তা জন্য আপনার দারস্থ হয়েছি।
সরজমিন গিয়ে জানা যায় ইউপি সদস্য একই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হওয়াতে ভয়ে কেহ কিছু বলতে সাহস পাচ্ছে না।
এর আগেও এই ইউপি সদস্য নামে একাদিক অভিযোগ রয়েছে এলকায়।
বিবিচিনি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের একাদিক নেতা কর্মীরা বলেন মজিবর মেম্বার এর দ্বারা আওয়ামী লীগের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে আমরা এ বিষয় উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক কাছে জানিয়ে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবো।
অভিযোগ এর বিষয় ইউপি সদস্য বলেন মোঃ মজিবর রহমান খন্দকার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমার নির্বাচনের সময় এলাকায় কিছু শত্রু তৈরি হয়েছে তারা এসব করাইতেছে। ফয়সাল কে মারার বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি তাকে শুধু বলেছি এটা তো ইউএনও কাজ আমি কি ভাবে ভরাট করে দিবো। আমি তাকে মারিনি।
বিবিচিনি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোঃ নওয়াব হোসেন নয়ন বলেন মেম্বার ফয়সাল কে মেরেছে কিনা সেটা আমার জানা নেই বা কেহ আমাকে বলে নায়। আর যদি ফয়সাল কে মেরেও থাকে তার দায়ভার তো আর পরিষদ নিবে না এটা মেম্বার এর একান্ত ব্যক্তিগত বিষয়।
উপজেলা নির্বহী অফিসার মোঃ সুহৃদ সালেহীন বলেন অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে সততা পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।