শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০২:২৩ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
মির্জাগঞ্জে বিএনপির তিন নেতাকে দলীয় পদ থেকে অব্যাহতি তাড়াইলে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত গণতন্ত্র ও বিএনপি সমার্থক শব্দ : বিএনপি মহাসচিব প্রধান উপদেষ্টার সাথে নেপালের রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ জনগণের সঙ্গে থেকে বিশ্বাস ও ভালোবাসা অর্জন করুন : তারেক রহমান জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনে প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ তহবিল থেকে একশ’ কোটি টাকার অনুদান ২শ’ কোটি ডলারের বেশি নতুন সহায়তার প্রতিশ্রুতি বিশ্বব্যাংকর পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জের মহাসড়ক যেন মরণ ফাঁদ, দেখার যেন কেউ নেই মুরাদনগরে গোমতীর নদীর পানি কমার সাথে সাথে ভাঙনে দিশেহারা মানুষ মির্জাগঞ্জে ইউপি সদস্যের দাপট

অ্যাডওয়ার্ড কেনেডিকে ‘ফ্রেন্ডস অব লিবারেশন ওয়ার’ সম্মাননা প্রদান

নিজস্ব প্রতিবেদক:
  • আপলোডের সময় : মঙ্গলবার, ১ নভেম্বর, ২০২২
  • ৬০৫৪ বার পঠিত

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে মহান অবদানের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রয়াত মার্কিন সিনেটর অ্যাডওয়ার্ড এম কেনেডি সিনিয়রকে ‘ফ্রেন্ডস অব লিবারেশন ওয়ার’ সম্মাননা প্রদান করেছেন।

তিনি বলেন, ‘অ্যাডওয়ার্ড এম. কেনেডি সিনিয়রকে (মরণোত্তর) তার যোগ্য পুত্র অ্যাডওয়ার্ড এম টেড কেনেডি জুনিয়রের হাতে ‘ফ্রেন্ডস অব লিবারেশন ওয়ার’ সম্মাননা তুলে দিতে পেরে আমি খুবই আনন্দিত।’

সোমবার (৩১ অক্টোবর) সন্ধ্যায় রাজধানীর একটি হোটেলে টেড কেনেডি জুনিয়র ও তার পরিবারের সদস্যদের সম্মানে আয়োজিত এক নৈশভোজে সংক্ষিপ্ত ভাষণে একথা বলেন শেখ হাসিনা। হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের ক্রিস্টাল বলরুমে এই নৈশভোজ অনুষ্ঠিত হয়।

প্রধানমন্ত্রী সংক্ষিপ্ত ভাষণে বলেন, ‘১৯৭২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে অ্যাডওয়ার্ড এম কেনেডি সিনিয়রের বাংলাদেশ সফর আমাদের জনগণকে যেভাবে উৎসাহিত করেছিল আজকে আপনাদের সফরও আমাদেরকে সেভাবে উৎসাহিত করেছে।

এর আগে রোববার সকালে কেনেডি জুনিয়র, তার স্ত্রী ক্যাথরিন কেনেডি, মেয়ে কাইলি কেনেডি এবং ছেলে টেডি কেনেডি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে গণভবনে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছি। তিনি বাংলাদেশের মানুষকে উজ্জীবিত করেছিলেন মহান মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে দেশকে স্বাধীন করার জন্য।

তিনি বলেন, নির্বাচনে জয়লাভ করা সত্ত্বেও পাকিস্তানের শাসনভার কোনো বাঙালির হাতে যাবে এটা পাকিস্তানের শাসকরা কখনো মেনে নেয়নি। আর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নির্বাচনে পুরো পাকিস্তানে সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন পান। কিন্তু পাকিস্তানের সামরিক জান্তা ইয়াহিয়া খান ক্ষমতা হস্তান্তর করেনি বরং নিরস্ত্র বাঙালির ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। তাকে গ্রেপ্তার করে এবং অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। বাঙালি থেমে থাকেনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতার ৭ মার্চের সেই ঐতিহাসিক ভাষণ ‘যার যা কিছু আছে তাই নিয়ে শক্রুর মোকাবিলা করতে হবে,’ – বাঙালি তাই করেছিল। পাকিস্তানীদের অত্যাচারে প্রায় ১ কোটির ওপর শরণার্থী ভারতে আশ্রয় নেয়। সেই রিফিউজি ক্যাম্পে অত্যন্ত মানবেতর জীবন যাপন যখন তারা করতো তখন ছুটে এসেছিলেন টেড কেনেডি। তিনি ছুটে এসেছিলেন বাঙালির কাছে। ওই রিফিউজি ক্যাম্পগুলো তিনি ঘুরে ঘুরে দেখেছিলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, কেনেডি সিনিয়র মানুষের দুঃখ, কষ্ট উপলদ্ধি করেছিলেন। তখনই তিনি পদক্ষেপ নেন এবং সিনেটে (মার্কিন) এ বিষয়ে তিনি কথা তোলেন এবং আমেরিকা যে পাকিস্তানীদের পক্ষ নিয়েছে, অস্ত্র দিচ্ছে বা অর্থ দিচ্ছে তার বিরোধিতা করেন এবং তিনি দ্ব্যার্থহীন কণ্ঠে বলেন, মুক্তিকামী বাঙালিদের পাশে আমেরিকার থাকা উচিত। তাদের মানবাধিকারের জন্য থাকা উচিত। যেটা আমাদের মুক্তিযোদ্ধাদের অনেক বেশি অনুপ্রেরণা যুগিয়েছিল। অনেক বেশি সাহস যুগিয়েছিল।

তিনি বলেন, আমেরিকা সরকারের কিছু অংশ হয়তো আমাদের সমর্থন করেনি কিন্তু অধিকাংশ আমাদের বাঙালিদের সমর্থন করে এবং জনগণ আমাদের সমর্থন করেন। কাজেই আওয়ামী লীগ সরকারের আসার পর সেই ২০০৯ সাল থেকে যারা আমাদের বন্ধুপ্রতীম বিদেশি তাদেরকে আমরা সম্মান জানানোর চেষ্ট করেছি।

তখন সুযোগ না হওয়ায় এখন কেনেডি জুনিয়র এবং তার পরিবারের সদস্যদের পেয়ে (তার আমন্ত্রণ গ্রহণ করে আসায়) প্রধানমন্ত্রী তার মাধ্যমে সিনিয়র কেনেডিকে সম্মাননা জানাতে পেরে নিজেও গর্ব অনুভব করেন

দয়া করে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..