রবিবার, ০৪ জুন ২০২৩, ০৩:৩২ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
পটুয়াখালীতে নারী মাদক ব্যবসায়ী আটক বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত করতে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেট হয়েছে যথোপযুক্ত : প্রধানমন্ত্রী ঝুঁকিতে যাত্রীরা, ভোলার অভ্যন্তরীন নৌপথে ফিটনেসহীন নৌযানের দৌরাত্ম্য পুলিশ সুপারের প্রত্যক্ষ তদারকিতে সাদুল্যাপুরে গুলি ভর্তি বিদেশী পিস্তল সহ যুবক আটক পলাশবাড়ীতে লেডি মাস্তান শ্যামলীর শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত (ভিডিওসহ) বাজেট নিয়ে আওয়ামী লীগের সংবাদ সম্মেলন আগামীকাল ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটের আকার ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা গরীব-ধনী সবার জন্য এবারের বাজেট : অর্থমন্ত্রী চরফ্যাশনে দাদিকে বিয়ে করল নাতি, কাবিন ৭ লাখ হরিরামপুরে অবৈধভাবে পুকুর খনন করায় ভেকু জব্দ, দু’জনের জেল

অল্প সময়ে সংবিধান প্রণয়ন অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ : প্রধানমন্ত্রী

পিপলস নিউজ ডেস্ক:
  • আপলোডের সময় : শুক্রবার, ৪ নভেম্বর, ২০২২
  • ৫৮৬৪ বার পঠিত
ফাইল ছবি

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের সুদূরপ্রসারী এবং বলিষ্ঠ নেতৃত্বে গণতন্ত্র ও আইনের শাসন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে অতি অল্প সময়ের মধ্যে সংবিধান প্রণয়ন বাঙালির জাতীয় জীবনে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। সংবিধান প্রণয়নের সুবর্ণজয়ন্তীতে ৪ নভেম্বরকে ‘জাতীয় সংবিধান দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করা আওয়ামী লীগ সরকারের একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ।

‘জাতীয় সংবিধান দিবস’ উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে তিনি এসব এ কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ বিনির্মাণে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে আমাদের মুক্তি-সংগ্রামের ইতিহাস ও সংবিধানের চেতনা ধারণের জন্য জাতীয় সংবিধান দিবস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস।’

জাতীয় সংবিধান দিবস উপলক্ষে দেশের নাগরিকদের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে তিনি বলেন, ৪ নভেম্বর বাঙালি জাতির এক ঐতিহাসিক দিন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহ্বানে সাড়া দিয়ে দীর্ঘ ২৩ বছরের রাজনৈতিক সংগ্রাম ও ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর চূড়ান্ত বিজয়ের মাত্র ১১ মাসের মধ্যে এদিনে গৃহীত হয়েছিল বাঙালি জাতির অধিকারের দলিল, বহুল আকাঙ্ক্ষিত গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান।

শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব পাকিস্তানের বন্দিদশা থেকে মুক্তি পেয়ে ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি দেশে ফিরে আসেন। তিনি ১৯৭২ সালের ১১ জানুয়ারি প্রোভিসনাল কনসস্টিটিউশান অব বাংলাদেশ অর্ডার, ১৯৭২ জারি করেন, যা দ্বিতীয় সংবিধান নামে খ্যাত।

একটি পূর্ণাঙ্গ ও স্বয়ংসম্পূর্ণ সংবিধান রচনার উদ্দেশ্যে ১৯৭২ সালের ২৩ মার্চ কনস্টিটিউয়েন্ট অ্যাসেম্বলি অব বাংলাদেশ অর্ডার, ১৯৭২ জারি করা হয় জানিয়ে তিনি বলেন, উক্ত আদেশের অধীন ১৯৭০ সালের পাকিস্তানে সাধারণ নির্বাচনে নির্বাচিত জাতীয় পরিষদের সদস্য এবং প্রাদেশিক পরিষদের সদস্যদের নিয়ে গণপরিষদ গঠিত হয়। গণপরিষদকে সংবিধান প্রণয়নের দায়িত্ব অর্পণ করা হয়।

১৯৭২ সালের ১০ এপ্রিল গণপরিষদের প্রথম অধিবেশনে ৩৪ সদস্য বিশিষ্ট একটি খসড়া সংবিধান প্রণয়ন কমিটি গঠন করা হয়। ১২ অক্টোবর গণপরিষদের দ্বিতীয় অধিবেশনে খসড়া সংবিধান বিল আকারে উত্থাপন করা হয়। ৪ নভেম্বর গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান গণপরিষদে গৃহীত হয়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আজীবন লালিত স্বপ্ন ছিল একটি সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলা গড়ার। যেখানে সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক সুবিচার নিশ্চিত হবে। বঙ্গবন্ধুর এই লালিত স্বপ্নকে বাস্তবে রূপদানের জন্যই গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের প্রস্তাবনায় ঘোষণা করা হয় যে, রাষ্ট্রের অন্যতম মূল লক্ষ্য হবে- গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে এমন একটি শোষণমুক্ত সমাজতান্ত্রিক সমাজের প্রতিষ্ঠা, যেখানে সকল নাগরিকের জন্য আইনের শাসন, মৌলিক মানবাধিকার এবং রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক সাম্য, স্বাধীনতা ও সুবিচার নিশ্চিত হবে।

প্রধানমন্ত্রী ‘জাতীয় সংবিধান দিবস’ উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।

দয়া করে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..