বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:৪৪ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
মন্ত্রী-এমপি’র স্বজনরা প্রার্থিতা প্রত্যাহার না করলে ব্যবস্থা: ওবায়দুল কাদের উপজেলা নির্বাচনে কোন অনিয়ম সহ্য করা হবে না : চট্টগ্রামে ইসি আনিছুর থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা মুরাদনগরে সড়কে সোলার স্ট্রিট লাইট স্থাপন বরাবরই মানবিক কাজে নিজেকে বিলিয়ে দেন সার্জেন্ট জাহাঙ্গীর পটুয়াখালীতে সাংবাদিককে হুমকি: থানায় অভিযোগ দায়ের পটুয়াখালী পৌর কৃষকলীগ নেতার আপত্তিকর ভিডিও ভাইরাল! নাগেশ্বরীতে প্রাণী সম্পদ অফিসে টেকনিসিয়ান নিয়োগে অনিয়ম এডিসের লার্ভা পেলে জেল ও জরিমানা করা হবে: ডিএনসিসি মেয়র জলবায়ু অভিযোজনে সফলতার জন্য বিশ্বের ঐক্যবদ্ধ প্রয়াস জরুরি : পরিবেশমন্ত্রী

ভোটে কারচুপি করলে এজেন্টদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থার হুঁশিয়ারি

নিজস্ব প্রতিবেদক:
  • আপলোডের সময় : মঙ্গলবার, ১৫ নভেম্বর, ২০২২
  • ৫৯৯৭ বার পঠিত

ভোটগ্রহণে কারচুপি করলে প্রার্থীর এজেন্টদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আলমগীর।

মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) নির্বাচন ভবনের নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ইসি আলমগীর বলেন, ভোটকেন্দ্রে প্রার্থীর এজেন্টরা কারচুপিতে সহায়তা করলে বা কারচুপি করলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তাই বলে এজেন্টদের ভোটকেন্দ্র থেকে বাইরে রাখা যাবে না। এটা কোনো দলই মানবে না। মশারির ভেতরে মশা ঢুকলে মশারি পুড়িয়ে দিলে তো হবে না। মশা তাড়াতে হবে। তেমনই কোনো এজেন্ট অনিয়মের সঙ্গে জড়িত থাকলে ব্যবস্থা নিতে হবে।

তিনি বলেন, অনেকেই বলেন যে ইভিএম একটা কারচুপির মেশিন। আমরা এখানে দায়িত্ব নেওয়ার পর বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা করেছি। অতীতের নির্বাচনের যে অভিজ্ঞতা নিয়েছি, তাতে দেখেছি, ইভিএমে কারচুপির কোনো সুযোগ নেই। কারণ আমরা তো কারিগরি দিক থেকে এক্সপার্ট না, যারা এক্সপার্ট তারা বলেছেন। দলগুলোকেও ডেকেছিলাম তাদের কারিগরি টিম এনে পরীক্ষা করে দেখার জন্য।

তিনি বলেন, ইভিএম নিয়ে প্রথমেই যেটা বলা যে, প্রোগ্রামিং করে ফল পাল্টে দেওয়া যায়। তাত্ত্বিক দিক দিয়ে যারা বলেন তারা হয়ত ঠিকই বলেন। কিন্তু বাস্তবতার দিক দিয়ে এটা মোটেই ঠিক নয়। আপনি বলতেই পারেন যেকোনো একটা কোম্পানির ওষুধে ভেজাল থাকতে পারে, কিন্তু সব কোম্পানির ওষুধে ভেজাল আছে বিষয়টি এমন নয়। আমাদের ইভিএমটা ভিন্ন ধরনের। অনেকেই বলেন, ভারতের ইভিএমের মতো। আসলে ভারতের সঙ্গে এটার তুলনা করা যায় না। ভারতের ইভিএম ভোটার আইডেন্টিফিকেশন করে ম্যানুয়েলি। আমাদের ইভিএমে আইডেন্টিফিকেশন করা হয় স্বয়ংক্রিয়ভাবে। যেহেতু আমাদের ভোটার ডাটাবেজ আছে ছবিসহ এবং ফিঙ্গারপ্রিন্টসহ। কাজেই ভোটারদের সব তথ্য যাচাই হয় মেশিনের মাধ্যমেই। যেটা ভারতের ইভিএম করার সুযোগ নেই।

তিনি বলেন, দ্বিতীয় বিষয় হলো এ ইভিএমে যে প্রোগ্রামিং করা হয়েছে, তাতে শুধুমাত্র যোগ করতে পারে। যে প্রার্থী আছে তাদের ভোটটা যোগ করতে পারে। আর কিছু করতে পারে না। প্রোগ্রামিংটা ওইভাবে করা। কাজেই কেউ যন্ত্রে বা বাইরে থেকে ম্যানুপুলেশন করবে সে সুযোগ নেই। কারণ এটার যে চিপস ব্যবহার করা হয়েছে, যেখানে রাইট করা হয়, এটা হলো ওয়ান-টাইম ইউজেবল। কাজেই একবার রাইট করা গেলে রি-রাইট বা এডিট করার কোনো সুযোগ থাকে না।

সাবেক এ ইসি সচিব বলেন, আরেকটা হলো ইন্টারনেটের সঙ্গে কোনো সংযোগ নেই আমাদের ইভিএমের। ব্যালট ইউনিটের সঙ্গে যে সংযোগ দেওয়া হয়, এটা কিন্তু কাস্টমাইজ করা। বাজারে কেনা কোনো ক্যাবল, ড্রাইভ; কোনো কিছুই এটার মধ্যে ইনসার্ট করতে পারবেন না। কেবল এই ইভিএমের জন্য যে ডিভাইস তৈরি করা হয়েছে, সেটা ছাড়া আর কোনো ডিভাইস যোগ করতে পারবেন না।

তিনি আরও বলেন, এটা কেবল যোগ-বিয়োগ করে। ক্যালকুলেটরের মতো। ক্যালকুলেটরে যেমন প্রোগ্রাম পরিবর্তন করার সুযোগ নেই। আমাদের ইভিএমে সে সুযোগ নেই। ইভিএম নিয়ে যে অপপ্রচার আছে, যারা বলেন তারা না জেনে না বুঝে বলেন। তারা চাইলে যেকোনো ইভিএমে চেক করে দেখতে পারেন।

মো. আলমগীর বলেন, ইভিএমে ভোট নেওয়ার সুবিধা হলো ভোটের আগে পরে ভোট দেওয়ার সুযোগ অথবা ভোটার ছাড়া কেউ এসে ভোট দিয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই। একটা দুর্বলতা আছে, যে গোপন বুথে যদি ভোটারকে ঢুকতে না দেওয়া হয়, এই সুযোগটা আছে। যদি ১০ শতাংশ ভোটার কেন্দ্রে আসে তবে ১০ শতাংশ ভোটই কাস্ট করতে পারবে। আর ব্যালটে ১০ শতাংশ ভোটার আসলে শতভাগ ভোট দেওয়ার সম্ভব। এটার মাধ্যমে জালিয়াতি কোনো সুযোগ নেই।

দয়া করে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..