মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১২:০১ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
মির্জাগঞ্জে কৃষি জমিতে সেচ দিতে গিয়ে যুবক ফিরলো লাশ হয়ে আকাশ: কবি মাহফুজ রকি মির্জাগঞ্জে প্রাইমারি ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি নির্বাচিত শান্তা মনি দেশ ও জনগণের জন্য কাজ করতে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান উপজেলা নির্বাচন: হরিরামপুরে জনপ্রিয়তার শীর্ষে দেওয়ান সাইদুর মির্জাগঞ্জে পুলিশ কর্মকর্তার বিচারের দাবিতে মানববন্ধন যে কোন দুর্যোগে পুলিশ জীবন বাজি রেখে সেবা প্রদান করছে : ডিএমপি কমিশনার নতুন করে আরও ৭২ ঘণ্টার তাপ প্রবাহের সতর্কতা জারি যে কোন মূল্যে উপজেলা নির্বাচন সুষ্ঠু করতে হবে : সিইসি মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ২০২৩ সালের মানবাধিকার প্রতিবেদন ঢাকার প্রত্যাখ্যান

ভোলায় কমতে শুরু করেছে শীতকালীন সবজির দাম

সাব্বির আলম বাবু (ভোলা ব্যুরো চিফ):
  • আপলোডের সময় : সোমবার, ২১ নভেম্বর, ২০২২
  • ৬০১২ বার পঠিত

ভোলা জেলার বিভিন্ন হাট বাজারে শীতকালীন শাক-সবজির সরবরাহ বৃদ্ধি পেয়েছে। আর সবজির আমদানি বাড়ায় গত সপ্তাহের তুলনায় কমেছে দাম। প্রায় প্রতিটি শাক-সবজিতে সর্বনিম্ন ৩ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৫০ টাকা পর্যন্ত মূল্য কমেছে।

শহরের সবচে বৃহৎ কাঁচা পাইকারী পণ্যের আড়ৎ নতুন বাজারের খাল পাড় সড়কের কাঁচা বাজার ঘুরে আজ শুক্রবার সকালে এমনটাই দেখা গেছে। পাইকারী বাজরে দাম কমায় এর প্রভাব পড়েছে খুচরা বাজারে। এতে করে স্বস্তি প্রকাশ করেছে ক্রেতারা।

কাঁচা পণ্যের আড়ৎদার মো. শাজাহান জানান, আজ মুলা বিক্রি হচ্ছে ১৪-১৫ টাকায়, যা গত সপ্তাহের তুলনায় ৫ টাকা কমেছে। বেগুন ৫ টাকা কমে ২৪-২৫ টাকা। ফুলকপি ১০ টাকা কমে ৩৫ টাকা বিক্রি হচ্ছে। বাঁধা কপি ১০ টাকা কমে ৩০ টাকা। সীম ৩২-৩৫ টাকা কেজি, যা কমেছে ১০ টাকা। লাউ বিক্রি হচ্ছে প্রতি পিস ৩০-৩৫ টাকা, মূল্য কমেছে প্রতিটিতে ৩০ টাকা। টমেটো (পাঁকা) বিক্রি হচ্ছে ১০৫ টাকা, দাম কমেছে ৫০ টাকা। টমেটো (কাঁচা) ৩০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ৪০-৪৫ টাকা।

তিনি আরো জানান, বরবটি ৫ টাকা কমে ৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ধনেপাতা ৩০ টাকা কমে কেজিতে ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। শসা ২০ টাকা কমে ৪০ টাকা। দুন্দুল ১০ টাকা কমে ৩০ টাকা। এছাড়া পেঁপে ও মিষ্টি কুমড়োর দাম আগের মতই রয়েছে। একইসাথে শীতের লাল শাক, পালং শাক ও মুলার শাক আটিতে কমেছে ৩ থেকে ৫ টাকা। কাঁচা মরিছ কেজিতে কমেছে ১০ টাকা।

জেলা কাঁচা বাজার আড়ৎদার মালিক সমিতির সভাপতি মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, শীত বাড়ার সাথে-সাথে শীতের সবজির আমদানী বেড়েছে জেলায়। আর এতে করে দামও কমছে। জেলায় স্থানীয়ভাবে সবজি উৎপাদন হলেও মূলত যশোর থেকে বর্তমানে সবজি আসছে। এর কারণ আমাদের এখানে প্রাকৃতিক কারণে একটু দেড়িতে সবজি চাষ হয়। ইতোমধ্যে লোকাল সবজিও বাজারে আসতে শুরু করেছে। তাই স্থানীয় সবজির সরবারহ বাজারে বৃদ্ধি পেলে দাম আরো কমে যাবে।

সব মিলিয়ে আগামী ১০ দিনের মধ্যে দাম আরো কমার আশা করেন তিনি। এদিকে জেলায় এবছর ১১ হাজার ২৪৯ হেক্টর জমিতে শীতকালীন শাক-সবজি চাষের লক্ষ্যমাত্রা হাতে নিয়েছে কৃষি বিভাগ। নির্ধারিত জমি থেকে ২ লাখ ২২ হাজার ৪৮২ টন শাক-সবজির উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। আবার অনেক কৃষক আগাম শীতকালীন শাক-সবজি চাষ করে লাভবান হয়েছে।

দয়া করে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..