বাংলাদেশ ছাত্রলীগের আসন্ন সম্মেলনে সভাপতি পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন একুশে হল ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও উপ-তথ্য ও প্রযুক্তি সম্পাদক এহসান উল্লাহ পিয়াল।
৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ ছাত্রলীগের দ্বিবার্ষিক সম্মেলনের মাধ্যমে নতুন নেতৃত্ব আসবে।
শনিবার(৩ ডিসেম্বর) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে ছাত্রলীগের কার্যালয়ের এ মনোনয়নপত্র জমা দেন পিয়াল।
এসময় এহসান উল্লাহ পিয়াল বলেন, ছাত্রলীগের দুঃসময়ে, আন্দোলন সংগ্রামে যারা মাঠে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন সেরকম নেতৃত্বই নতুন কমিটিতে আসবে বলে প্রত্যাশা রাখি।
রাজধানীর নরসিংদীর ছেলে এহসান উল্লাহ পিয়াল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র।
প্রথমবর্ষ থেকেই ছাত্রলীগের রাজনীতিতে জড়িত পিয়াল ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারীর সমসাময়িক সময়ে বিএনপি-জামাতের পেট্রোলবোমা হামলার বিরুদ্ধে সক্রিয় অবস্থান নিয়েছিলেন। ২০১৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অমর একুশে হল ছাত্রলীগের সহসম্পাদক মনোনীত হন।
তারপর নেতৃত্বের স্বাক্ষর রাখায় ২০১৬ সালে অমর একুশে হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।
পরবর্তী সময়ে দক্ষ নেতৃত্বের স্বাক্ষর রাখায় বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সংসদের উপ-তথ্য ও প্রযুক্তি সম্পাদক হন এহসান উল্লাহ পিয়াল।
পিয়াল বলেন, যারা দেশরত্ন শেখ হাসিনার নির্দেশ মতো সর্বাবস্থায় রাজপথে থাকবে এবং দেশে জামাত-শিবির-বিএনপি’র অস্থিরতার বিরুদ্ধে মাঠে থাকবে এমন নেতৃত্বই প্রত্যাশিত।
প্রসঙ্গত, এহসান উল্লাহ পিয়ালের মা খাদিজা বেগম নরসিংদী জেলার বেলাবো উপজেলার সল্লাবাদ ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড আওয়ামিলীগের সিনিয়র সদস্য, চাচা হাবিবুর রহমান ১নং ওয়ার্ড আওয়ামিলীগের সভাপতি, বেলাবো উপজেলার বাজনাবো ইউনিয়ন আওয়ামিলীগের সভাপতি মামা খন্দকার মোখলেছুর রহমান।
পিয়ালের আপন বড়ভাই জুনায়েদ পারভেজ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ছিলেন। তিনি ২০০৬ সালে বিএনপি ক্ষমতায় থাকা সময় ছাত্রলীগের যোগ দিয়ে আআন্দোলন সংগ্রামে সামনের সারিতে ছিলেন।