রবিবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩, ০১:২২ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
বেতাগীতে ১৪৫ জনকে ফ্রী চক্ষু চিকিৎসা প্রদান মিরপুর সাইন্স কলেজে নবীনবরণ, কৃতি শিক্ষার্থী সংবর্ধনা ও বৃত্তি প্রদান জলবায়ু অভিঘাত মোকাবিলায় সর্বজনীন আন্তর্জাতিক অর্থায়ন ব্যবস্থার আহ্বান তথ্যমন্ত্রীর বাংলাদেশ আইএমও’র কাউন্সিল সদস্য নির্বাচিত ইসি’র সিদ্ধান্তে আওয়ামী লীগের আস্থা রয়েছে : ওবায়দুল কাদের ৩৪ দিনে ৪৮০ বাহন ও ১১৯ স্থাপনায় অগ্নি সংযোগ-ভাংচুর – নতুনধারা দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে ২,৭১৩ জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র দাখিল বিএনপির ১৫ কেন্দ্রীয় নেতাসহ সাবেক ৩০ সংসদ সদস্য নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন :ওবায়দুল কাদের ক্লাইমেট মোবিলিটি চ্যাম্পিয়ন লিডার অ্যাওয়ার্ডে ভূষিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ ‘জাগো২৪.নেট চতুর্থ বর্ষে পদার্পণ করল

১০ ডিসেম্বর ভোলা মুক্ত দিবস

সাব্বির আলম বাবু (ভোলা ব্যুরো চিফ):
  • আপলোডের সময় : শুক্রবার, ৯ ডিসেম্বর, ২০২২
  • ৫৯১০ বার পঠিত

১৯৭১ সালের ১০ ডিসেম্বর ভোলা পাকিস্তানি হানাদারদের হাত থেকে মুক্ত হয়। মুক্তিযোদ্ধাদের প্রবল চাপের মুখে পাকিস্তানি বাহিনী কোণঠাসা হয়ে পড়ে। নিজেদের জীবন বাঁচাতে ১০ ডিসেম্বর হানাদার বাহিনী কার্গো লঞ্চে করে ভোলা থেকে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়। তাদের চলে যাওয়ার পর সম্পূর্ণরূপে হানাদার মুক্ত হয় ভোলা জেলা।

হানাদার বাহিনী পালিয়ে যাওয়ার পর ১০ ডিসেম্বর বর্তমান ভোলা কালেক্টরেট ভবনের সামনের জেলা হিসাবরক্ষণ অফিসের ছাদে পতাকা উড়িয়ে ভোলাকে হানাদার মুক্ত ঘোষণা করেন মুক্তিযোদ্ধারা। তাদের চলে যাওয়ার পর ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা মুক্তিযোদ্ধারা আশপাশ থেকে শহরে ঢোকে।

শহরের ওয়াপদা, পাওয়ার হাউস ও জেলা সরকারি বালক বিদ্যালয়সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ক্যাম্প স্থাপন করে শুরু হয় আনন্দ মিছিল। ১৯৭১ সালের এই দিন দীর্ঘ ৯ মাসের সশস্ত্র সংগ্রাম ও যুদ্ধের পর হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসররা ভোলার মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতিরোধের মুখে পালিয়ে যায়। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন ভোলা শহরের পানি উন্নয়ন বোর্ড অফিস চত্বর দখল করে, হানাদার বাহিনী ক্যাম্প বসায়। সেখান থেকেই একের পর এক অমানবিক কর্মকাণ্ড চালায়।

মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিকামী নিরীহ মানুষকে ধরে এনে হত্যা করাসহ লাশগুলো সেখানেই দাফন করা হয়। এছাড়াও ভোলার খেয়াঘাট এলাকায় মুক্তিযোদ্ধাদের ধরে এনে হত্যা করে তেঁতুলিয়া নদীতে ফেলে দেওয়া হয়। মুক্তিযোদ্ধা ও সাধারণ মানুষের রক্তে রঞ্জিত হয় তেঁতুলিয়া নদীর পানি। বহু নারীকে ক্যাম্পে ধরে এনে রাতভর নির্যাতনের পর লাইনে দাঁড় করিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করে। ওই সময় হানাদার বাহিনী অগণিত মানুষকে হত্যা করে। মুক্তিযোদ্ধাদের দাফন ছাড়াই গণকবর দেওয়া হয়। মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে হানাদার বাহিনীর সম্মুখ যুদ্ধ হয় ভোলার ঘুইংঘারহাট, দৌলতখান, বাংলাবাজার, বোরহানউদ্দিনের দেউলা ও চরফ্যাশন বাজারে। ওই যুদ্ধে শতাধিক মুক্তিযোদ্ধা শাহাদাত বরণ করেন। পাশাপাশি বহু হানাদারও মারা যায়। ১৬ ডিসেম্বর সারা দেশ স্বাধীন হলেও ভোলা স্বাধীন হয় ১০ ডিসেম্বর।

ভোলা মুক্ত দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, ভোলা জেলা প্রশাসক ও বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থাসহ সামাজিক অঙ্গ সংগঠন র‌্যালি, আলোচনা সভা ও বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করেছে।

দয়া করে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..