পটুয়াখালীর জেলা প্রশাসক শরীফুল ইসলাম বলেছেন, ‘সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের বিরুদ্ধে দুর্নীতির যেমন অভিযোগ আছে, তেমনি সরকারি দপ্তর গুলো ডিজিটালাইজেশনের জন্য অনেকটাই দুর্নীতি অনিয়ম কমে এসেছে।
২০৪১ এর পরে দুর্নীতি নিশ্চিহ্নের দিকে যাবে। তবে শুধু সরকারি দপ্তর নয়, বেসরকারী ও ব্যক্তি পর্যায়ে দুর্নীতির প্রচলন আছে। আমরা যা চোখে দেখি বা শুনি, সেটা নিয়েই আলোচনা করি। কিন্তু অনেক কিছুই চোখের ও কানের আড়াল থাকে। সেটা নিয়ে আলোচনা হয়না।’
আন্তর্জাতিক দুর্নীতি বিরোধী দিবস উপলক্ষে শুক্রবার সকালে পটুয়াখালী জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান আতিথীর বক্তব্যে জেলা প্রশাসক এসব কথা বলেন।
এসময় তিনি বেসরকারি সংস্থার দৌরাত্ম, নামসর্বস্ব ও ঠিকানা এবং কার্যক্রম বিহীন এনজিও’র বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতির ঘোষণা দেন। জেলা প্রশাসক আরও বলেন, ‘অনেক বেসরকারি সংস্থার কোন কিছু না করে, অথবা কিছু কাজ করে, সুন্দর ভাবে রিপোর্ট করে বই প্রকাশ করে। খোঁজ নিয়ে তাদের কার্যক্রম, অফিস বা ঠিকানা পাওয়া যায় না। এনজিওদের জেলা প্রশাসনের ছাড়পত্র নেওয়ার সময় তিনি তদন্তের মাধ্যমে বিধিমোতাবেক ব্যবস্থা নিবেন। অনেকেই নিজের দায়িত্ব অবহেলা ও দায়িত্ব পালনে ফাঁকিসহ নানান ভাবে অনৈতিক সুবিধা নিয়ে থাকে, এটাও দুর্নীতি।’
‘পরিবারের ছোট সদস্যদের দেশের চলমান আইন, কানুন ও নিয়মের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়ার জন্য শিখাতে হবে। তাদেরকে অনৈতিক পন্থা অবলম্বন থেকে দূরে রাখতে হবে। তাহলে আস্তে আস্তে তাদের মধ্যে সততা ও দেশপ্রেমের চর্চা শুরু হবে বলেও মন্তব্য করেন নবাগত জেলা প্রশাসক শরীফুল ইসলাম।
এর আগে শহরের সোনালী ব্যাংক চত্বরে মানববন্ধন কর্মসূচী অনুষ্ঠিত হয় । মানব বন্ধন ও আলোচনা সভায় জেলা প্রশাসক সহ জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি একেএম শহিদুল ইসলাম, দুদকের উপপরিচালক মামুনুর রশীদ চৌধুরী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আহমদ মঈনুল হাসান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক হুমায়ন কবিরসহ সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
Print [1]