দোহার (ঢাকা) প্রতিনিধি: , আপলোডের সময় : বুধবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২২ , আজকের সময় : শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪

দোহারে বিদ্যুৎ স্পৃষ্টে দুই শ্রমিকের মৃত্যু

ঢাকার দোহার উপজেলায় বিদ্যুৎ স্পৃষ্ট হয়ে দুই শ্রমিকের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।নিহতরা হলেন- উপজেলার দক্ষিণ জয়পাড়া মাঝি বাড়ি এলাকার আর্শেদ আলীর ছেলে মো. মনির হোসেম (৩৫) ও একই উপজেলার ইকরাশি খ্রিস্টান পাড়া এলাকার আসলামের ছেলে মো. সানি (৩২)।

বুধবার (২১ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে উপজেলার দক্ষিণ জয়পাড়া বড় মাঠ সংলগ্ন সড়কের পাশে নতুন ভবনের দ্বিতীয় তলায় এ দূর্ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও প্রত্যাক্ষদর্শী সুত্রে জানা যায়,বুধবার সকালে দুই রং মিস্ত্রি সৌদি আরব প্রবাসী মুছার বাড়িতে রংয়ের উন্নয়ন কাজ করতে যায়।পৌরসভা শহরের এ ভবনটি রাস্তার ফুটপাত দখল করে নির্মাণ করা হয়েছিলো।ভবনটি ঘেঁষে ঢাকা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর ৩৩ হাজার কিলোভোল্টের সঞ্চালন লাইনের একটি খুঁটি ছিল।

সেই খুটিঁ পাশেই ঝুঁকিপূর্ণ ভবনটির রংয়ের কাজ করতে গিয়ে ভবনের ছাদের সাথে বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনে স্পৃষ্ট হয়ে দুই রংমিস্ত্রি দূর্ঘটনার কবলে পড়ে। খবর পেয়ে দোহার ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের একটি দল ঘটনাস্থলে এসে তাদের উদ্ধার করে।

পরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাদেরকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এ সময়ে দোহার থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন। এ ঘটনায় দোহার থানা পুলিশ ঐ বাড়ির কেয়ারটেকার শামসু মুন্সি নামের একজনকে আটক করেন। সংবাদ পেয়ে পুলিশের সার্কেল-এএসপি মো.আরিফুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

দোহার ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন লিডার আব্দুল হাদী বলেন, ওই বাড়ির সীমানা ঘেঁষে বিদ্যুতের খুঁটি ও ৩৩ হাজার ভোল্টের মেইন লাইন রয়েছে। তাই বাড়ির মালিক ও শ্রমিকদের অনেক সাবধানতার সাথে কাজ করা উচিত ছিল।

দোহার পল্লী বিদ্যু? সমিতির ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার সুশান্ত রায় বলেন,বাড়ির মালিকের অদক্ষতাই মুল কারন।পূর্বে আমাদের জানালে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতাম।

পৌর মেয়র মো.আলমাছ উদ্দিনের সাথে তার মোবাইল ফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন,আমিও আজই জানতে পেরেছি।ঘটনার জন্য দু:খ প্রকাশ ছাড়া আর কিছুই বলতে পারছি না। তবে এ ভবনটির আমাদের পৌরসভার অনুমোদন রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সম্প্রতি দীর্ঘ ২২ বছর পর দোহার পৌরসভার নির্বাচনের মাধ্যমে লাভ করছি।

সর্বশেষ দোহার থানার (ওসি) তদন্ত মো. আজহারুল ইসলাম বলেন, সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে লাশ দুটি থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে। এ বিষয়ে নিহতের পরিবারের লিখিত অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।