বেতাগী (বরগুনা) প্রতিনিধি: , আপলোডের সময় : বৃহস্পতিবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২২ , আজকের সময় : রবিবার, ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

বেতাগীতে ইউপি সদস্যে’র বিরুদ্ধে, সরকারি সম্পত্তি চুরির অভিযোগে মামলা

রগুনার বেতাগীতে সরকারি আবাসনের সম্পত্তি (নির্মান সামগ্রী) চুরি করে বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছে এক ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্যের বিরুদ্ধে।
বুধবার সন্ধ্যায় উপজেলার সদর ইউনিয়নের ঝোপখালী গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে। পরে ইউপি সদস্য সহ মোট পাঁচ জনকে আসামি করে মামলা করেন ইউনিয়ন ভূমি উপ সহকারি কর্মকর্তা রিয়াজুল ইসলাম।
অভিযুক্ত ওই ইউপি সদস্যের নাম মো. মনির হোসেন সিকদার। তিনি সদর ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য। তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহঃ প্রচার সম্পাদক ।
এর আগে গত ৪ আগষ্ট একই এলাকা থেকে সরকারি আকাশমণি গাছ কেটে বিক্রি করার অভিযোগ ওঠেছে তার বিরুদ্ধে। এছাড়াও ক্ষমতার অপব্যবহার সহ রয়েছে নানা অভিযোগ। একের পর এক অনৈতিক কর্মকান্ডে বিব্রত সাধারন মানুষ। তার লাগাতার অপকর্মের সাহসের উৎস জোগায় কে বা কারা এই নিয়ে জনমনে নানা প্রশ্ন রয়ে গেছে। জানা যায়, উপজেলার সদর ইউনিয়নের ঝোপখালী গ্রামে সিডর পরবর্তী সরকারি আবাসন নির্মাণ করা হয়। আবাসনগুলো জরাজীর্ণ হয়ে পড়ায় ওই জায়গায় প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে উপজেলা প্রশাসন ভ‚মিহীনদের জন্য ঘর নির্মাণের উদ্যোগ নেয়। ১৫ দিন ধরে সেখানকার পুরানো টিন, লোহার এঙ্গেল ভেঙে আবাসনের জায়গায় জমা রাখা হয়।
বুধবার রাত আটটার দিকে সদর ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. মনির সিকদার ওইসব মালামাল পিকআপ ভ্যানে তুলে লোকজনের অগোচরে বাকেরগঞ্জ বাসষ্ট্যান্ডের কাছের এনায়েত হোসেনের ভাঙারি দোকানে বিক্রির জন্য নিয়ে যায়। বিষয়টি বেতাগী উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে (ইউএনও) জানানো হলে তৎক্ষনাত মালামাল উদ্ধার করার ব্যবস্থা করেন। পরে রাত তিনটার সময় পাশবর্তী বাকেরগঞ্জ থেকে বেতাগী থানার এসআই জিহাদ হোসেন মালামাল জব্দ ও জাকির হোসেনকে (৩০) আটক করে।
সদর ইউনিয়নে ঝোপখালী গ্রামের বাসিন্দা মো. রুবেল মৃধা বলেন ‘ইউপি সদস্য মনির সিকদার আবাসনের মালামাল পিকআপ ভ্যানে তুলে নিয়ে যান। দেখতে পেয়ে আমরা তার পিছু নেই। পাশের উপজেলায় এনায়েত হোসেনের ভাঙ্গারি দোকানে নিয়ে মালামালগুলো বিক্রি করে। পরে আমরা বিষয়টি ইউএনও স্যারকে জানাই।’ .নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যাক্তি জানায়, তিনি কাউকে তোয়াক্কা করেন না। তার যখন যা মন চায় তখন তাই করেন। তার লোভের হাত থেকে সরকারি মালামালও রেহাই পায় না , সেখানে সাধারন জনগনের তা কিভাবে খেতে পারে তা আপনারাই বুঝে নেন।
এ ব্যাপারে জানতে সদর ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. মনির সিকদারের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
বেতাগী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, বিষয়টি জানার পর সেখান থেকে পুলিশ মালামাল উদ্ধার করে বেতাগী থানা হেফাজতে নেয়া হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো.সুহ্রদ সালেহীন বলেন, বিষয়টি জানার পর তাৎক্ষণিকভাবে মালামাল উদ্ধার করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।