সাব্বির আলম বাবু (নিজস্ব প্রতিবেদক): , আপলোডের সময় : শনিবার, ৩১ ডিসেম্বর, ২০২২ , আজকের সময় : শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর, ২০২৪

ভোলায় মহাজনের দাদনের বেড়াজালে কৃষক, পণ্যের ন্যায্যমূল্য বঞ্চিত

ভোলার চরফ্যাশনে দাদনের বেড়াজালে আটকে পড়েছে কৃষক। উৎপাদিত শাক-সবজি ন্যয্যমূল্য না পাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। মনপ্রতি কৃষকের কাছ থেকে কমিশন নেয়া হচ্ছে ৪০ টাকা।

চরফ্যাশন কাঁচাজার আড়ৎ ঘুরে দেখা গেছে, টমেটো কেজি কৃষক পাচ্ছে ৩৫ টাকা পাইকারী ৪৫ টাকা, খুচড়া বিক্রি ৭০ টাকা, বাঁধা কাপি কৃষক পাচ্ছে ১২ টাকা, পাইকারী ১৮ টাকা খুচরা ২৫ টাকা, ফুলকপি কৃষক পাচ্ছে ১৫ টাকা পাইকারী ২২ টাকা, খুচরা ৩৫ টাকা, সীম কৃষক পাচ্ছে ১৮ টাকা পাইকারী ২২ টাকা খুচরা ৩৮ টাকা, শশা কৃষক পাচ্ছে ১৭ টাকা, পাইকারী ২০ টাকা খুচরা ৩০ টাকা, কোমড়া কৃষক পাচ্ছে ১০ টাকা পাইকারী ১৫টাকা খুচরা ৩০ টাকা, গোল আলু কৃষক পাচ্ছে ৮ টাকা পাইকারী ১২ টাকা খুচরা ২২ টাকা।

আড়ৎদারদের বিরুদ্ধে সাধারন কৃষকের অভিযোগ আমরা দাদন নিয়ে চাষাবাদ করি। কিন্তু আড়ৎদারগন আমাদেরকে টন প্রতি ১ হাজার ৮০ টাকা দিতে হচ্ছে। এছাড়াও আমরা উৎপাদিত কোন সবজি ওই আড়ৎদার ছাড়া কোন জয়গায় বিক্রি করা যাবেনা। বিক্রি করলেই নির্যাতনের খড়ক চলে আসে কৃষকের উপর। দেখা যায় একই সবজি আড়ৎ চেয়ে অন্য স্থানে কেজিতে ৫ টাকা বেশী বিক্রি করতে পারি নগদে। আমরা সেই সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছি।

পৌর সভা ৪নং ওয়ার্ডের ক্রেতা কামরুল সিকদার বলেন, শাক সবজির মূল্য যেই হারে বাড়ছে সাধারন মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বাহিরে চলে যাচ্ছে। এক কেজি টমেটো ক্রয় করতে হচ্ছে ৬০/৭০টাকা। কিন্তু কৃষকের কাছে সেই মূল্য পাচ্ছেনা। আসলামপুর ইউনিয়নের খোদেজাবাগ গ্রামের কৃষক আলী হোসেন বলেন, আমি সীম ১৭/১৮ টাকা কেজিতে আড়দে বিক্রি করি, কিন্তু সীম বাজারে চলছে ২২ টাকা। এখানে কেজিতে ৫টাকা কমে বিক্রি করতে হচ্ছে। আমরা সার কীটনাশক পূর্বের চেয়ে মূল্য বেশী হওয়া আমরা লোকসান গুনতে হচ্ছে। চরফ্যাশন কাচাঁবাজার আড়ৎদার নিজাম উদ্দিন বলেন, আমি চাষা অনুযায়ী ২/৩ লাখ টাকা দাদন দিচ্ছি। অনেক সময় দূর্যোকের জন্যে কৃষক চাষাবাদে ফসল বিনষ্ট হয় এতে আমারাও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আড়ৎদারগন ক্ষতিগ্রস্থ হতে হয়। এই জন্যে আমরা আড়ৎদারেী মনে ৪০ টাকা নিচ্ছি। আমাদের ট্রাগ ভাড়া বেশী পরিমান টাকা চলে যাচ্ছে। বরিশাল ৩টন মাল পাঠানে খরচ হচ্ছে ৮/৯ হাজার টাকা। আবার চট্রগ্রাম পাঠাতে খরচ হচ্ছে ২৫/২৬ হাজার টাকা। এতে আমরা অনেক সময় লোকসানের মুখে পরি।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ওমর ফারুক বলেন, চরফ্যাশনে পর্যাপ্ত পরিমান সবজি উৎপাদন করেছে। এখান থেকে কোমড়, সীম, বেগুন ও মেটো আলু বরিশাল, চট্রগ্রাম, নোয়াখারী ও ঢাকা রপ্তানী হচ্ছে। কৃষক ন্যয্য মূল্য পাচ্ছে। এছাড়াও চরফ্যাশনে ২টি ইউনিয়ন চরমাদ্রাজ ও হাজারীগঞ্জে বিষমুক্ত সবজি উৎপাদন হচ্ছে। এতে বিভিন্ন স্থানে রপ্তানী করা সম্ভাব হবে।