নিজস্ব প্রতিবেদক: , আপলোডের সময় : রবিবার, ১৫ জানুয়ারী, ২০২৩ , আজকের সময় : শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪

ঢাকা শহরের আবাসন প্রকল্পে ২৫ ভাগ সবুজায়ন নিশ্চিতের দাবী

ঢাকা শহরের বর্তমান সময়ের প্রধান সমস্যা বায়ু দূষণ। বায়ু দূষণ বন্ধ করতে সবুজায়ন বৃদ্ধি করা জরুরি। প্রতিবছর একজন সুস্থ ব্যক্তির নিঃশ্বাস নিতে ৭৮৬ গ্রাম অক্সিজেনের প্রয়োজন হয়। এজন্য প্রত্যেক কাটায় সাত থেকে আটটি গাছের প্রয়োজন হয়। কিন্তু ঢাকা শহরে এখন তা কল্পনা করা দূরহ। ঢাকা শহরের সবুজায়ন বৃদ্ধি করার জন্য কি ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করা জরুরী এই বিষয়টি মাথায় রেখে দীর্ঘদিন ধরে পরিবেশবাদী সংগঠন সবুজ আন্দোলন মাঠ পর্যায়ে কাজ করছে।

গত ১৪ জানুয়ারি বিকাল ৩টায় মিরপুর ডিওএইচএস এ সবুজ আন্দোলন ঢাকা মহানগর উত্তর শাখার উদ্যোগে” ঢাকা মহানগর উত্তরের সবুজায়ন বৃদ্ধিতে করণীয় শীর্ষক আলোচনা সভা ও মহানগর কমিটি পুনর্গঠন” এর আয়োজন করে।

সবুজ আন্দোলন কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদের নিরাপত্তা বিষয়ক সম্পাদক এম এ মামুনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সবুজ আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালনা পরিষদের চেয়ারম্যান বাপ্পি সরদার। উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের উপ কমিটির সাবেক সদস্য মাহাদী হাসান মল্লিক।

প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন সবুজ আন্দোলনের পরিচালক অভিনেতা উদয় খান। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও সবুজ আন্দোলনের সদস্য সাবেক ছাত্রনেতা এনাম জয়নাল আবেদীন, জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় সদস্য মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম রাজন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ঢাকা মহানগর উত্তরের যুগ্ম আহ্বায়ক সাংবাদিক আবুল আতা মামুন।

প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, ঢাকা মহানগর উত্তরের সবুজায়ন বৃদ্ধি করার জন্য আবাসন প্রকল্পকে ২৫ ভাগ বনায়ন নিশ্চিত করতে বাধ্য করতে হবে। সবুজায়ন কম থাকার ফলে বায়ু দূষণের মাত্রা এখন অতিরিক্ত। নগরীর নদী ও খাল পাড় দখল মুক্ত করে স্থায়ীভাবে সবুজায়ন নিশ্চিত করা,প্রত্যেকের বাড়ির ছাদে ও বিল্ডিং কোড অনুযায়ী সবুজায়ন বৃদ্ধি, ফুটপাত দখল মুক্ত করে দোকান ও বাসার সামনে গাছের টবের ব্যবস্থা করলে প্রায় ২ ভাগ সবুজায়ন বৃদ্ধি করা সম্ভব,সরকারি পতিত জায়গায় পরিকল্পনা মাফিক বৃক্ষরোপণ করতে হবে। দখলকৃত পুকুর ও ডোবাকে দখলমুক্ত করে পরিকল্পনা মাফিক সবুজায়ন করা সম্ভব। এজন্য পরিবেশ অধিদপ্তর, মন্ত্রণালয় ও সকল সামাজিক সংগঠনকে সমন্বয় করে একযোগে কাজ করতে হবে।

উদ্বোধক তার বক্তব্য বলেন, আমি মনে করি সিটি কর্পোরেশনের প্রত্যেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর তাদের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করলে নাগরিক সুবিধা সম্বলিত সিটি কর্পোরেশন জনগণের জন্য উপহার দেওয়া সম্ভব। কাউন্সিলরদেরকে সবুজায়ান বৃদ্ধির উদ্যোগ নেওয়ার পাশাপাশি আরো বেশি জনগণ বান্ধব হতে হবে।

প্রধান আলোচক তার বক্তব্যে বলেন, আমরা সব সময় পরিবেশ বিপর্যয় রোধে জনসচেতনতা তৈরিতে কাজ করছি। ইতোমধ্যে নগরের বিভিন্ন জায়গায় বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি।আগামী দিনগুলোতে ঢাকা মহানগরের প্রত্যেকটা থানায় বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হবে।

বিশেষ অতিথি এনাম জয়নাল আবেদীন বলেন, আমাদের জাতীয় পার্টি সব সময় শান্তির কথা বলে, সমৃদ্ধির কথা বলে। আমরা অবশ্যই প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দল জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়ে আরো বেশি আন্তরিক হবো এবং সবুজায়ন বৃদ্ধিতে কাজ করব।

ঢাকা মহানগর উত্তরের কমিটি পুনর্গঠনে এম এ মামুনকে আহবায়ক, সাংবাদিক আবুল আতা মামুনকে সদস্য সচিব নির্বাচিত করা হয়। যুগ্ম আহ্বায়ক তানিয়া রহমান, মোহাম্মাদ ওলি উল্লাহ, আশীষ কুমার, ডেইলি কান্ট্রি টুডের সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার ও বিডি পিপলস নিউজের সম্পাদক সিনিয়র সাংবাদিক আসাদুজ্জামান সজীব, মোসাব্বির আলমের নাম ঘোষণা করা হয়।

এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন উত্তরের সদস্য হাফিজুল ইসলাম, মোহাম্মদ আক্কাস আলী, আবুল কালাম আজাদ- সন্তোষ দাশগুপ্ত, এডভোকেট হান্নান মিঞা,দেবদাস শিকারী, মৃনাল বাইন প্রমূখ।