অবৈধভাবে সীমান্ত পাড়ি দেওয়ার চেষ্টার দায়ে রোমানিয়া থেকে চার বাংলাদেশি ও দুইজন ভারতীয় নাগরিককে নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি তাদেরকে আগামী পাঁচ বছরের জন্য রোমানিয়া ও শেনজেন জোনে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।
রোমানিয়া থেকে অবৈধ উপায়ে শেনজেন সীমান্তে প্রবেশের চেষ্টা করা অভিবাসীদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রেখেছে বুখারেস্ট কর্তৃপক্ষ। ২০২২ সালের ধারাবাহিকতায় নতুন বছরের শুরু থেকেই হাঙ্গেরি সীমান্তে অবৈধ অভিবাসন বিরোধী অভিযান জোরদার করা হয়েছে।
রোমানিয়া জেনারেল ইনস্পেক্টরেট ফর ইমিগ্রেশন (আইজিআই) ২০ জানুয়ারি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, দেশটির আরাদ অঞ্চলের অভিবাসন কর্মকর্তারা ১৯ জানুয়ারি চার বাংলাদেশি ও দুই ভারতীয় নাগরিককে ফেরত পাঠিয়েছেন।
সংবাদ মাধ্যম ইনফোমাইগ্রেন্টস এর এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
তাদের সবাইকে অবৈধ উপায়ে শেনজেন সীমান্তে প্রবেশের চেষ্টার সময় আটক করা হয়েছিল। পরে তারা জিজ্ঞাসাবাদে এটি স্বীকার করেন।
বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, ফেরত পাঠানো ব্যক্তিরা সবাই ২৬ থেকে ৪০ বছর বয়সী পুরুষ। ফেরত পাঠানোর আগ পর্যন্ত তারা পুলিশি হেফাজতে ছিলেন।
সব আইনি প্রক্রিয়া শেষে তাদেরকে রোমানিয়ার ক্লুজ শহরে অবস্থিত সোমেসেনি বিমানবন্দরে নিয়ে আসা হয়। সেখান থেকে বিমানযোগে তাদেরকে নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে।
ইউরোপের দেশটি ছাড়ার সময় ছয় অভিবাসীকে রোমানিয়ায় বিদেশিদের অধিকার সংক্রান্ত সংশোধিত কার্যবিধির জিইও নম্বর ১৯৪/২০০২-এর অধীনে আগামী পাঁচ বছরের জন্য রোমানিয়া ও শেনজেন জোনে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।
ডিপোর্ট প্রক্রিয়া বাস্তবায়নে যুক্ত থাকা কর্মকর্তাদের আরাদ কাউন্টি জেন্ডারমেরি ইন্সপেক্টরেটের মাধ্যমে সহায়তা করে কর্তৃপক্ষ।
অপরদিকে, ২৫ জানুয়ারি প্রকাশিত আরেকটি বিবৃতিতে আইজিআইয়ের তথ্য ও জনসংযোগ দপ্তর জানিয়েছে, জানুয়ারি মাসের শুরু থেকে এ পর্যন্ত অস্থায়ী সুরক্ষা পাওয়া ইউক্রেনীয় নাগরিকদের ৪৮০টি রেসিডেন্ট পারমিট ইস্যু করা হয়েছে।
পাশাপাশি এ সময় ১৫৩টি আশ্রয়ের আবেদনও নথিভুক্ত করা হয়েছে। যার বেশিরভাগই আবেদন করেছেন বাংলাদেশের নাগরিকরা। ৭৪টি আবেদন নিয়ে শীর্ষে বাংলাদেশিরা। ১৫টি আশ্রয় আবেদন করেছেন নেপালের নাগরিকেরা এবং ১২টি আবেদন করেছেন পাকিস্তানিরা।
সম্প্রতি রোমানিয়ার শেনজেন জোনে প্রবেশে ভেটো দিয়ে আটকে দিয়ে অস্ট্রিয়া৷ অস্ট্রিয়ার চ্যান্সেলর কার্ল নেহামার অভিযোগ করেছেন, দেশটিতে অবৈধভাবে আসা প্রায় ২০ হাজার অভিবাসী রোমানিয়া হয়ে এসেছেন এবং রোমানিয়ান পুলিশ এটি আগে থেকেই জানত। তবে রোমানিয়া পুলিশ এ ধরনের পরিসংখ্যানের তথ্য নিশ্চিত করেনি।
ক্রোয়েশিয়ার মতো শেনজেন জোনে প্রবেশে সফল হতে রোমানিয়া সীমান্তে কড়া নিরাপত্তা ও অন্যায় আচরণ বজায় রেখে ইইউর দেশগুলোর সম্মতি পেতে চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেছে এনজি ও অভিবাসন সংস্থাগুলো।