বিয়ের দাবিতে গত ৪ দিন ধরে অনশন করে আসছিলেন মারিয়া আক্তার (২২)নামের এক সন্তানের জননী। ঘটনাটি ঘটেছে পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলার মজিদবাড়িয়া ইউনিয়নের বাসন্ডা গ্রামে।
আজ বুধবার রাত ১২.৩০ ঘটিকার সময় মির্জাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইয়েমা হাসান সরেজমিনে উপস্থিত হয়ে মারিয়া আক্তার কে উদ্ধার করে পুলিশের হেফাজতে রাখেন। তার এই উদ্ধার কাজে সহযোগিতা করেছেন মির্জাগঞ্জ উপজেলার মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা শিরিন সুলতানা, মির্জাগঞ্জ উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান হাসিনা বেগম সহ মির্জাগঞ্জ থানা পুলিশ প্রশাসন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বাসন্ডা গ্রামের জলিল ফরিকের ছেলে শামীম ফকির (২৫) এর সাথে পটুয়াখালী সদর উপজেলার বড়বিঘাই গ্রামের মোতালেব হাওলাদারের মেয়ে মারিয়ার সাথে এক বছর আগে তার ভাবির মাধ্যমে পরিচয় হয়। পরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তখন থেকেই শামীম ফকির মারিয়ার সাথে শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে।
মারিয়া আক্তার অভিযোগ করে বলেন, এক বছর ধরে শামীম ফকির বিয়ের আশ্বাস দিয়ে আমার সাথে শারীরিক সম্পর্ক করে আসছে। আমি ঢাকার মিরপুরের একটি গার্মেন্টসে চাকরি করতাম। গত ৬ মাস আগে শামীম আমাকে মির্জাগঞ্জ মাজারে নিয়ে বিয়ে করবে বলে অঙ্গীকার করে। পরে স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে ঢাকা মিরপুর-১ এ বাসাভাড়া নিয়ে থাকি। সম্প্রতি বিয়ের কথা বলে তার নিজ বাড়ি বাসন্ডা আসতে বলে পালিয়ে যায়।
এ বিষয় মির্জাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন বলেন, অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
জানা যায়, গত ৬ বছর আগে আমতলী উপজেলার ফার্নিচার মিস্ত্রি মো. রাহাতের সাথে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় মারিয়ার। সেখানে তার ৬ বছর বয়সী একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। গত ৬ মাস আগে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়।