আমির হোসেন (ঝালকাঠি প্রতিনিধি): , আপলোডের সময় : মঙ্গলবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩ , আজকের সময় : শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪

৯ মাসের অন্তঃস্বত্তা কলেজ ছাত্রীর পেটে লাথি!

ঝালকাঠির রাজাপুুরের সদর ইউনিয়নের রোলা গ্রামে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে ৯ মাসের অন্তঃস্বত্তা শাহিদা আক্তার তামান্না (২২) নামে এক কলেজ ছাত্রীর পেটে লাথি মেরে অমানুষিক নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

মঙ্গলবার(১৪ ফেব্রুয়ারী) দুপুরে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও রাজাপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আহত তামান্নার খোজ নিয়েছেন। গত রোববার সকালের এ ঘটনায় অন্তঃস্বত্তার মা আমিনা বেগম বাদি হয়ে সোমবার দুপুরে রাজাপুর থানায় সাধারন ডায়েরী করেছেন। তামান্না বরিশাল বিএম কলেজের ইসলাম স্টাডিজ বিভাগের ৪র্থ বর্ষের ছাত্রী রোলা গ্রামের মোঃ শাহ আলমের মেয়ে এবং উপজেলার মনোহরপুর গ্রামের আলী আজিমের স্ত্রী। সাধারন ডায়েরী সূত্রে জানা গেছে, গত রোববার সকালে অন্তঃস্বত্তা তামান্নার মা আমিনা বেগম বাড়ির সামনের পাকা রাস্তায় বিরোধীয় জমির গাছের পাতা কুড়াতে গেলে প্রতিপক্ষ ইউসুফ, তার স্ত্রী শিউলি বেগম, মেয়ে জামিলা ইসলাম ও ইমা আক্তার একত্রিত হয়ে আমিনা বেগমকে মারধর করে। তখন মাকে রক্ষা করতে গেলে ৯ মাসের অন্তঃস্বত্তা শাহিদা আক্তার তামান্না ও তানিয়া তাদেরকেও মারধর করে এবং ৯ মাসের অন্তঃস্বত্তা শাহিদা আক্তার তামান্নার পেটে শিউলি বেগম ও ইউসুফ লাথি মেরে মাটিতে ফেলে দেয়। এতে অন্তঃস্বত্তা তামান্না জ্ঞান হারিয়ে মাটিতে পরে থাকলে স্বজন ও স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে রাজাপুর স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করান। ঘটনার পর থেকে প্রতিপক্ষদের অব্যাহত হুমকিতে তাদের পরিবারের লোকজন নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন বলে তামান্নার স্বামী আলী আজিম অভিযোগ করেন।

মঙ্গলবার বিকেলে রাজাপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডাঃ আমির সোহেল জানান, অন্তঃস্বত্তা তামান্না ও তার গর্ভের সন্তান এখন ঝুঁকিমুক্ত ও নিরাপদ আছেন। তাকে যথাযথভাবে সেবা দেয়া হচ্ছে।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত মোঃ ইউসুফের মোবাইলে কল দিলে তার মেয়ে জামিলা ইসলাম ফোন রিসিভ করে তার মা-বাবা ঘরে নেই দাবি করে মঙ্গলবার বিকেলে জানান, অন্তঃস্বত্তা তামান্না গাছের শিকড়ে বেঁধে মাটিতে পড়ে যায়। এখন আমাদের ফাঁসাতে মিথ্যা অভিযোগ দেয়া হচ্ছে। মঙ্গলবার দুপুরে রাজাপুর থানার এএসআই আবুল কাসেম জানান, এ ঘটনায় অন্তঃস্বত্তা তামান্নার মা জিডি করেছেন। মঙ্গলবার দুপুরে ঘটনাস্থল ও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। এ বিষয়ে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে কাউকে আটক করা হয়নি।