আশরাফুজ্জামান সরকার (গাইবান্ধা প্রতিনিধি): , আপলোডের সময় : বুধবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩ , আজকের সময় : শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪

গাইবান্ধায় ১৬টি চোরাই মহিষ উদ্ধার ও আন্তঃজেলা চোর চক্রের মূলহোতা গ্রেফতার

গাইবান্ধা জেলা পুলিশের চাঞ্চল্যকর সাঁড়াশী অভিযানে ১৩টি চোরাই ও আরো জব্দকৃত তিনটি সহ মোট ১৬টি মহিষ উদ্ধার ও আন্তঃজেলা গবাদিপশু চোরের মুল হোতা আলতাফ হোসেনকে গ্রেফতার করায় জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে এক প্রেস কনফারেন্স করা হয়েছে৷

আজ ফুলছড়ি থানা চত্বরে এক প্রেস কনফারেন্স গাইবান্ধা জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মোঃ ইবনে মিজান সাঁড়াশী অভিযানের সার্বিক বিষয় তুলে ধরে তিনি বলেন, আপনারা এলাকায় সন্দেহভাজন লোকদের দেখলে এবং এ ধরণের চোরাকারবারী ঘটনা ঘটলে আমাদের সংবাদ দিবেন অথবা ৯৯৯-এ সংবাদ দিবেন। গাইবান্ধা জেলায় চোরাকারবারী নির্মূলে আমাদের এই অভিযান নিয়মিতভাবে অব্যাহত থাকবে ৷ আমরা সকলের সম্মিলিত সহযোগিতা প্রত্যাশা করছি।

এ সময় ফুলছড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ কাওছার আলী, টিআই প্রশাসন নূর আলম সিদ্দিক, পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ আব্দুল আজিজ, এসআই মোঃ আবু ছাইদ সহ জেলা পুলিশের বিভিন্ন পদমর্যাদার সদস্যবৃন্দ ও স্থানীয় সাংবাদিকগণ উপস্থিত ছিলেন।

১৬ টি চোরাই মহিষ।

প্রেস কনফারেন্সে জানা যায়, গত ১২ই ফেব্রুয়ারী/২৩ দিবাগত রাত্রী ১০.০০ ঘটিকার পর হতে ১৩ই ফেব্রুয়ারী/২৩ ভোর ৬.০০ ঘটিকার মধ্যে গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার ভাজনডাঙ্গা গ্রামের মৃত রহিম উদ্দিনের ছেলে জনৈক মোঃ জাকাতুল ইসলামের ভাজনডাঙ্গার চর মহিষ ঘর হতে অজ্ঞাতনামা চোররা বিভিন্ন বয়সী মোট ১৩টি মহিষ চুরি হয় ৷ উক্ত ঘটনা ফুলছড়ি থানায় প্রাপ্ত সংবাদের ভিত্তিতে গাইবান্ধা জেলা পুলিশ সুপার কামাল হোসেন এর সার্বিক দিক নির্দেশনা মোতাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বি-সার্কেলের নেতৃত্বে ফুলছড়ি থানার ওসি, ইন্সপেক্টর তদন্তসহ অন্যান্য অফিসার ফোর্সসহ জেলা পুলিশের একাধিক টিম অভিযান চালায় ৷ এতে গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ থানা এলাকার সাহেবগঞ্জ বাগদা ফার্মের আনছার ক্যাম্পের পশ্চিমে পুকুর হতে চুরি যাওয়া ১৩টি মহিষ উদ্ধারসহ মোট ১৬টি মহিষ উদ্ধার করে ৷ এ সময় চোর চক্রের মূলহোতা ও পরিকল্পনাকারী কুখ্যাত চোর আলতাফ হোসেন (৪৭) গ্রেফতার করে। চোরাই যাওয়া উদ্ধারকৃত মহিষগুলোর আনুমানিক মূল্য ২৬ লাখ ৭৫ হাজার টাকা। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে চুরি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে তার সঙ্গে থাকা আরো ৩/৪ জন চোরের নাম প্রকাশ করে। ইতোমধ্যে মহিষের মালিক জাকাতুল ইসলাম এবং তার ছেলে আব্দুর রহিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিজেদের মহিষ হিসেবে সনাক্ত করে। সেখানে আইনগত কার্যক্রম করে মহিষগুলো ট্রাক যোগে ফুলছড়ি থানায় নিয়ে আসা হয়। মহিষের মালিক থানায় উক্ত বিষয়ে এজাহার করিলে ফুলছড়ি থানার মামলা নং- ০৯/২৩ তারিখ ১৪/০২/২০২৩ ইং ধারা-৪৫৭/৩৮০ পেনাল কোড রুজু করা হয়। এ ঘটনায় জড়িত অন্যান্য আসামী গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত আছে।

গ্রেফতারকৃত চোরের মুলহোতা আলতাফ হোসেন (৪৭) গাইবান্ধা জেলার ফুলছড়ি উপজেলার মধ্য খাটিয়ামারী গ্রামের বাসিন্দা ছামছুল হক ও মাতা- শ্যামলাই বেগমের ছেলে। সে জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার সাহেবগঞ্জ বাগদা ফার্ম এলাকায় বসবাস করতো।