কর্তব্যরত অবস্থায় জীবন উৎসর্গকারী পুলিশ সদস্যদের ফুলেল শ্রদ্ধায় স্মরণ করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
পুলিশ মেমোরিয়াল ডে-২০২৩ উপলক্ষে বুধবার সকাল ১০টায় পুলিশ স্টাফ কলেজে স্থাপিত ‘পুলিশ মেমোরিয়াল’ বেদিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আমিনুল ইসলাম খান, এসবি প্রধান ও অতিরিক্ত আইজিপি মনিরুল ইসলাম, র্যাব মহাপরিচালক(ডিজি) খুরশীদ হোসেন, ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি নূরুল ইসলাম, টুরিস্ট পুলিশ প্রধান হাবিবুর রহমান, ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (অ্যাডমিন) এ কে এম হাফিজ আক্তার, সিটিটিসি প্রধান মো. আসাদুজ্জামান প্রমুখ।
উল্লেখ্য, গত বছর কর্তব্যরত অবস্থায় জীবন উৎসর্গ করেছেন পুলিশের বিভিন্ন স্তরের ১২১ সদস্য।
পুলিশ সদর দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, বিভিন্ন দেশে কর্তব্যরত অবস্থায় পুলিশসহ বিভিন্ন বাহিনীর জীবন দেওয়া সদস্যদের স্মরণ করা হয়। এজন্য তৈরি করা হয়েছে মেমোরিয়াল।
বাংলাদেশ পুলিশের ১৯৯৩ সাল থেকে এখন পর্যন্ত সন্ত্রাসীদের সঙ্গে সংঘর্ষে এবং কর্মরত অবস্থায় নিহত পুলিশ সদস্যদের সম্মান জানানোর উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ পুলিশ ২০১৭ সাল থেকে ১ মার্চ মেমোরিয়াল-ডে পালন করছে।
প্রতি বছর মেমোরিয়াল-ডে তে ওই বছরে মৃত ব্যক্তিদের পরিবারের উপস্থিতিতে সম্মান প্রদর্শন করা হয়। মেমোরিয়াল-ডে পালন করার জন্য ইতোপূর্বে রেপলিকা স্মৃতি তৈরি করে পালন করা হয়েছে। জেলা/ইউনিটে একই দিনে রেপলিকা স্মৃতিস্তম্ভ তৈরি করে মেমেরিয়াল-ডে পালন করা হচ্ছে।
বিভিন্ন দেশের বিদ্যমান স্মৃতিস্তম্ভ পর্যালোচনা করে বাংলাদেশ পুলিশ ২০১০ সালে স্থায়ী দৃষ্টিনন্দন স্মৃতিজ্ঞ নির্মাণ করার উদ্যোগ গ্রহণ করে। এই ধারাবাহিকতায় নকশা প্রণয়ন ও সাইট নির্ধারণ করে ২০১৯ সালে নির্মাণ কাজ আরম্ভ করা হয়।
মেমোরিয়াল টাওয়ারের গ্লাসসমূহ দিনের বেলায় টাওয়ার ভেদ করে যাতে আলো প্রবেশ করতে না পারে সে জন্য বেলজিয়ামে নির্মিত ডাবল স্যান্ড ব্লাস্ট গ্লাস ব্যবহার করা হয়েছে। আলোর বিকিরণ যাতে রাতে বহুদূর থেকে দেখা যায় সে জন্য বিদেশ থেকে আমদানি করা বিশেষ কোণে প্রতিফলিত হয় এমন বিমের লাইট ব্যবহার করা হয়েছে।
এ স্তম্ভের আন্ডারগ্রাউন্ডে ১৯৯৩-২০২১ সাল পর্যন্ত সময়ে বাংলাদেশ পুলিশে কর্তব্যরত অবস্থায় নিহত বীর পুলিশ সদস্যদের ডাটা সংরক্ষিত রয়েছে।