আনোয়ার হোসাইন জুয়েল: তাড়াইল (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি: , আপলোডের সময় : সোমবার, ৬ মার্চ, ২০২৩ , আজকের সময় : শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪

তাড়াইলে সরকারি নীতি অমান্য করে জলমহালে সাব-লীজ: চুক্তি অস্বীকারে আদালতে মামলা

কিশোরগঞ্জের তাড়াইলে সুনাই বিল জলমহাল ইজারা নিয়ে চুক্তি বিজ্ঞ তাড়াইল সহকারী জজ আদালত, কিশোরগঞ্জে মামলা করেছেন সেকান্দরনগর ৪৭নং নিবন্ধনকৃত মাইজপাড়া মৎস্যজীবি সমবায় সমিতির সদস্যগণ।

জানা যায়, কিশোরগঞ্জ জেলার তাড়াইল উপজেলা ধলা ইউনিয়নের সেকান্দরনগর মৌজায় অবস্থিত সুনাই বিল জলমহালটি সরকারি বিজ্ঞপ্তি মারফত ১৪২৯ হতে ১৪৩১ বাংলা সনের জন্য তিন বছর মেয়াদে ইজারা গ্রহণ করে উপজেলার সেকান্দরনগর নয়াপাড়া গ্রামের সুনাই মৎস্যজীবি সমবায় সমিতি। সমিতিটি ইজারা নেওয়ার পর জলমহালে মাছ চাষ, কাঠা, বাঁশ, নৌকা ও মাছের পোনা ইত্যাদি ক্রয়ের জন্য টাকার প্রয়োজন হওয়ায় ৭ আনা শেয়ার বিনিময়ে পার্শ্ববর্তী সেকান্দরনগর মাইজপাড়া মৎস্যজীবি সমবায় সমিতির সভাপতি আজিজুল ৫ আনা, একই এলাকার মৃত ইদ্রিছ আলী ইদুর ছেলে তহুর মিয়া ১ আনা ও সাদেক আলী ভান্ডারীর ছেলে রায়হান ১ আনা হিস্যায় গত ১৫ মে ২০২২ তারিখে তিন ফর্দ কার্টিজে চুক্তি করে।

মামলা সূত্রে জানা যায়, অত্র চুক্তির প্রথম বছর উল্লেখিত বিলের ৭ আনা শেয়ার বুঝিয়ে দিলেও দ্বিতীয় বছর উক্ত শেয়ার অস্বীকার করে সুনাই মৎস্যজীবি সমবায় সমিতির সভাপতি মোঃ কালাচান মিয়া। শেয়ার নেওয়া তিনজন বিভিন্নভাবে আলাপ আচোনায় বিষয়টি নিষ্পত্তি না হওয়ায় বিজ্ঞ তাড়াইল সহকারী আদালতের স্মরণাপন্ন হয়ে মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-৪৬/২০২৩ সন অন্য, তারিখ- ১৪-০২-২০২৩।

সরেজমিনে জানা যায়, সুনাই মৎস্যজীবি সমবায় সমিতিটি বিগত ১৪২৬ বাংলা সন হতে ১৪২৮ সন পর্যন্ত উপজেলা কার্যালয় হইতে সুনাই বিল জলমহাল ইজারা পায়। কিন্তু তখনো সমিতিটি মাছ চাষ, কাঠা, বাঁশ, নৌকা ও মাছের পোনা ইত্যাদি ক্রয়ের জন্য ধলা ইউনিয়ন মৎস্যজীবি সমবায় সমিতি ৫ আনা ও সেকান্দরনগর মাইজপাড়া মৎস্যজীবি সমবায় সমিতি ৫ আনা এবং মৃত তৈয়ব আলীর ছেলে মোঃ সিরাজুল ইসলামকে ১ আনা শেয়ারে চুক্তিবদ্ধ হয়ে ইজারা মেয়াদ সম্পন্ন করে।

সরকারি জলমহাল ব্যবস্থাপনা নীতি-২০০৯ এ উল্লেখ রয়েছে কোন মৎস্যজীবি সংগঠন বা সমিতি তাদের নামে লীজকৃত জলমহাল কোন অবস্থাতেই সাবলীজ অথবা অন্য ব্যক্তি/গোষ্ঠীকে হস্থান্তর করতে পারবে না এবং অন্য কোনো উপায়ে তা ব্যবহার করতে পারবেনা। যদি তা করে থাকে তাহলে জেলা প্রশাসক উক্ত লীজ বাতিল করে দিবেন এবং জমাকৃত লীজমানি সরকারি অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করবেন। উক্ত লীজ গ্রহিতা মৎস্যজীবি সংগঠন/সমিতি পরবর্তী বছর জলমহাল বন্দোবস্ত সংক্রান্ত কোনো আবেদন করতে পারবে না।

এ বিষয়ে তাড়াইল উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা জলমহাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি লুবনা শারমিন বলেন, সরকারি জলমহাল ব্যবস্থাপনা নীতি-২০০৯ আইন অনুযায়ী কোন জলমহাল লীজ নেওয়ার পর সাব লীজ বা কোন ব্যক্তি/গোষ্ঠীকে হস্থান্তর করার বিধান নেই। সুনাই বিল জলমহালটি যদি এরকম আইন-বর্হিভুত কোনো কাজ করে থাকে তবে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।