রায়হান চৌধুরী (কুমিল্লা প্রতিনিধি): , আপলোডের সময় : বুধবার, ২২ মার্চ, ২০২৩ , আজকের সময় : রবিবার, ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

মুন্সিগঞ্জে বেওয়ারিশ হিসেবে দাফন করা লাশটি নিখোঁজ প্রকৌশলী ইমতিয়াজের

মুন্সিগঞ্জে বেওয়ারিশ হিসেবে দাফন করা লাশটি নিখোঁজ প্রকৌশলী ইমতিয়াজ মোহাম্মদ ভূইয়ার (৪৭)। মঙ্গলবার রাতে লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্সটি কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার পরমতলা গ্রামে পৌঁছলে সেখানে আবেগঘন পরিবেশ তৈরি হয়। এ সময় এলাকাবাসী প্রকৌশলী ইমতিয়াজ মোহাম্মদ ভূঁইয়ার লাশ দেখতে ভীড় করেন। কফিনের ভেতর মৃত দেহ দেখে চিৎকার করতে থাকেন ছেলে-মেয়ে, স্ত্রী, ভাই-বোনসহ তাঁর স্বজনরা। স্বজনদের বুকফাটা কান্নায় চোখের পানি ধরে রাখতে পারেননি এলাকার নারী-পুরুষরা।

বেওয়ারিশ হিসেবে দাফন করা প্রকৌশলী ইমতিয়াজ মোহাম্মদ ভূইয়ার লাশ একজন ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে মঙ্গলবার বিকেলে মুন্সিগঞ্জের কবরস্থান থেকে উওোলন করা হয়। মঙ্গলবার রাত ১০টায় পরমতলা ইদ্রিসিয়া ফাযিল মাদরাসা মাঠে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাঁর লাশ দাফন করা হয়েছে। বুধবার দুপুরে নিহতের ছোটবোন ঝর্ণা আক্তার ও ভাতিজা সাখাওয়াত ভূঁইয়া জানায়, আগেই দাফনের সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে রাখা হয়েছিল।

এর আগে মুন্সীগঞ্জে বেওয়ারিশ হিসেবে দাফন করা হয় প্রকৌশলী ইমতিয়াজ মোহাম্মদ ভূইয়ার (৪৭) লাশ। গত ৭ মার্চ ঢাকার তেজগাঁও থানার ডমিসাইল এলাকায় বাসা থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হন তিনি। সে স্ত্রী, এক ছেলে, দুই মেয়ে ও মা নিয়ে ওই এলাকায় থাকতেন। ইমতিয়াজ কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার ধামঘর ইউনিয়নের পরমতলা গ্রামের মোহাম্মদ হোসেনের ছেলে। গত ৮ মার্চ নিখোঁজের স্ত্রী ফাহমিদা আক্তার বাদী হয়ে ঢাকার কলাবাগান থানায় একটি জিডি করেন।

এদিকে গত ৮ মার্চ সন্ধ্যায় মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার মরিচের সেতু এলাকা থেকে অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। উদ্ধারের পরের দিন আইনি প্রক্রিয়া শেষে লাশটি আঞ্জুমান মুফিদুলে হস্তান্তর করে। এরপর গত ৯ মার্চ বেওয়ারিশ হিসেবে মুন্সীগঞ্জ পৌর কবরস্থানে তার লাশ দাফন করা হয়। তবে লাশটি নিখোঁজ প্রকৌশলী ইমতিয়াজ মোহাম্মদ ভূইয়ার বলে দাবি করে তাঁর পরিবার।

স্ত্রী ফাহমিদা আক্তার জানান, যারা আমার সন্তানদের মাথার ওপর থেকে ছায়া সরিয়ে দিয়েছে আমি তাদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনি স্বজন হারানোর ব্যথা বুঝেন, আমি আপনার কাছে হত্যাকারীদের বিচার চাই। যারা আমার স্বামীকে হত্যা করলো তাদের বিচার পেলে আমি একটু শান্তি পাবো। আমার সন্তানরা বাবার আদর স্নেহ থেকে বঞ্চিত হলো।

সিরাজদিখান থানার (ওসি) একে এম মিজানুল হক বলেন, এ ঘটনায় মঙ্গলবার রাতে একটি হত্যা মামলা রুজু করা হয়েছে। হত্যাকারীদের খুজেঁ বের করতে একাধিক টিম মাঠে কাজ করছে।