সুপেয় পানির পরিমাণ নির্দিষ্ট, তাই পানির অপচয় করলে এই সম্পদ ফুরিয়ে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।
বুধবার (২২ মার্চ) বিশ্ব পানি দিবস উপলক্ষ্যে ‘পানি ও পয়োনিষ্কাশন সংকট সমাধানে পরিবর্তন ত্বরান্বিতকরণ’ শীর্ষক এক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, সরকার ঢাকা শহরে প্রয়োজনীয় পানি বিশুদ্ধকরণ প্লান্ট স্থাপন করেছে। কৃষি, গৃহস্থালি ও শিল্পে পানি প্রয়োজন। নিরবচ্ছিন্ন ও সুপেয় পানি সরবরাহের উৎসগুলো নিরাপদ ও দূষণমুক্ত রাখতে হবে। বাংলাদেশ ভাটির দেশ। তাই উজানে পানির গতিপথ কৃত্রিমভাবে পরিবর্তন করলে বাংলাদেশের পরিবেশ ও জলবায়ু ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাংলাদেশ পৃথিবীর সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম। উন্নত বিশ্বে কার্বন নিঃসরণের হার মাথাপিছু ৬ টনের অধিক। সেখানে বাংলাদেশ মাত্র ০.৪ ভাগ কার্বন নিঃসরণ করেও জলবায়ুর বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সম্মুখীন।
সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা বা এসডিজি অর্জনে বাংলাদেশ কাজ করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি বাসযোগ্য পৃথিবী তৈরিতে সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ। কিন্তু সেই অঙ্গীকার বাস্তবায়ন করতে যে পরিমাণ আর্থিক সামর্থ্যের প্রয়োজন তার ঘাটতি রয়েছে। উন্নত বিশ্ব তাদের প্রুতিশ্রুত অর্থ ছাড় না দিলে বাংলাদেশসহ উন্নয়নশীল দেশগুলোকে এসডিজি বাস্তবায়নে সমস্যার মুখোমুখি হতে হবে।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূ-তত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. কাজী মতিন উদ্দীন আহমেদ। আলোচনায় অংশগ্রহণ বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ডাইরেক্টর অধ্যাপক ড. তানভীর আহমেদ, এনজিওর ফোরাম ফর পাবলিক হেলথের এক্সিকিউটিভ ডাইরেক্টর এস.এম.এ রশিদ।
এতে সম্মানিত অতিথি হিসেবে ছিলেন সুইডিশ রাষ্ট্রদূত আলেকজান্দ্রা বার্গ ভন লিনডে, ইউনিসেফ বাংলাদেশ প্রতিনিধি শেলডন ইয়েট ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধি ড. বারডান ইয়াং রানা। সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন স্থানীয় সরকার বিভাগের মহাপরিচালক মোহাম্মদ সারোয়ার বারী।